দেশের মাটিতে হাসিনার বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি হতে হবে: মির্জা ফখরুল

গুম ও হত্যাকাণ্ডের জন্য এই দেশের মাটিতেই শেখ হাসিনার বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে ‘মায়ের ডাক’ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ দাবি জানান।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে ‘মেমোরিজ অব ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স’ শীর্ষক একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজ প্রমাণিত হয়েছে, হাসিনা এই হত্যাকাণ্ডগুলোর জন্য দায়ী। হাসিনা এই গুমের জন্য দায়ী। সুতরাং হাসিনার বিচার অবশ্যই হতে হবে। দেশের মাটিতে হতে হবে এবং তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি হতে হবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, এ কথা ভাবা ভুল হবে যে বিএনপি এই বিষয়গুলো (আওয়ামী লীগ শাসনামলে বিরোধী মতাদর্শের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ গুম ও হত্যাকাণ্ড) এড়িয়ে যাবে। বিএনপি নির্বাচন অবশ্যই চায়। নির্বাচন চায় এই বিচারকে নিশ্চিত করার জন্য, বিচারগুলোকে ত্বরান্বিত করার জন্য।

অন্তর্বর্তী সরকার গুম কমিশনকে জনগণের সামনে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, জনশুনানি করা এবং গুম ও হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের কান্না বন্ধ করার ক্ষেত্রেও ব্যর্থ হয়েছে। এর জন্য সরকারকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।

মির্জা ফখরুল আশা করেন, যাদের মাধ্যমে গুম ও হত্যা করা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উদঘাটন করা হবে। যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন, তাদের তথ্য সামনে নিয়ে আসার কথা বলেন তিনি।

মায়ের ডাকের সংগঠক সানজিদা ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনটির সমন্বয়ক মঞ্জুর হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসিনুর রহমান প্রমুখ।

ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সাইয়্যেদ আব্দুল্লাহ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

কেএন/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নীলচে সৈকতে মোহনীয় টয়া Aug 23, 2025
img
আজ দেশের বাজারে স্বর্ণ ও রুপার আজকের দর Aug 23, 2025
img
রাজধানীতে ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত Aug 23, 2025
img
মার্কিন প্রত্যাখ্যানে এরদোয়ানের সামরিক কৌশলে ধাক্কা Aug 23, 2025
img
রাশিয়াকে আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প Aug 23, 2025
img
ভারত সফরে আসছে আর্জেন্টিনা, খেলবেন মেসি Aug 23, 2025
img
গাজায় দুর্ভিক্ষ শুরু, সৌদির কড়া প্রতিক্রিয়া Aug 23, 2025
img
ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে ব্যর্থ, ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ Aug 23, 2025
img
'ভারত এখন বুঝেছে, চীনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা কেন দরকার' Aug 23, 2025
img
নতুন করে মহাবিপদের মুখে পড়তে যাচ্ছে ইরান Aug 23, 2025
img
নতুন ফুটবলার কিনতে কারো বিদায়ের অপেক্ষায় নয় ম্যানইউ: আমুরি Aug 23, 2025
img
চট্টগ্রামে ফেনসিডিল কাণ্ডে এসআই কামাল প্রত্যাহার Aug 23, 2025
img
আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে জিরোটলারেন্স নীতিতে এগোচ্ছে পুলিশ Aug 23, 2025
img
সৌদিতে প্রবাসীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষায় নতুন পেনশন-সঞ্চয় উদ্যোগ Aug 23, 2025
img
পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষের নির্বাচন হওয়া উচিত: নুরুল হক Aug 23, 2025
img
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লিকেজে আগুন, একই পরিবারের ৯ জন দগ্ধ Aug 23, 2025
img
হামাস যুদ্ধবিরতি মানলেও গাজা দখল করব : নেতানিয়াহু Aug 23, 2025
img
পেনাল্টি মিসের পরও জয় দিয়ে শুরু পিএসজির Aug 23, 2025
img
পুশ ইন নিয়ে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের মন্তব্য Aug 23, 2025
img
নিউইয়র্কে পর্যটকবাহী বাস উল্টে প্রাণ গেল ৫ জনের Aug 23, 2025