ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুম শুরু হয়েছে মাত্র দুই সপ্তাহ আগে, কিন্তু গোলরক্ষকদের জীবন ইতিমধ্যেই কঠিন হয়ে উঠেছে। নতুন ম্যাচ বল ‘অরবিটা আলটিমেট পিএল’-এর অপ্রত্যাশিত উড়ান এবং পিচ্ছিলতার কারণে অনেক সেভ করতে গিয়ে গোলরক্ষকরা ফসকে দিচ্ছেন। নতুন বলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
এবার সেই জায়গায় এসেছে পিউমার তৈরি ‘অরবিটা আলটিমেট পিএল’। কিন্তু মাঠে নামতেই এই বল গোলরক্ষকদের আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গোলরক্ষক আলতাই বায়িন্দির আর চেলসির রবার্তো সানচেজ হিমশিম খেয়েছেন। বিশেষ করে সানচেজ তো হাত ফসকে প্রায় আত্মঘাতী গোল করে বসেছিলেন, শেষ পর্যন্ত ভিএআরে রক্ষা পান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রিমিয়ার লিগের এক গোলরক্ষক জানিয়েছেন, ‘এটা ভলিবলের মতো। বাতাসে অনেক নড়াচড়া করে। নাইকির বল কখনো এমন ছিল না। আমার মনে হয় না, এর আগে কোনো বল এ রকম ছিল।
বাড়িতে একটা নিয়ে এসেছি, যেন মানিয়ে নিতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বলটা ভীষণ পিচ্ছিল। ধরতে গেলেই হাত ফসকে যায়। এবার প্রচুর ভুল দেখবেন। এটা নাকি স্ট্রাইকারদের জন্য বানানো, কিন্তু তারাও সমস্যায় পড়ছে।
আরেক গোলরক্ষক বলেছেন, ‘এই বল নিশ্চিতভাবেই গোলরক্ষকদের জন্য বানানো হয়নি। খুবই জঘন্য একটা বল। পুরোনো হলে কিছুটা গ্রিপ পাওয়া যায়। কিন্তু ম্যাচে তো সব সময় নতুন বল ব্যবহার হয়। তাই এবার খুব বেশি সেভ দেখা যাবে না।’
শুধু প্রিমিয়ার লিগ নয়, পিউমা বর্তমানে ইংলিশ ফুটবল লিগের সব প্রতিযোগিতায় বল সরবরাহ করছে। এফএ কাপে বল তৈরি করে মিট্রে, আর চ্যাম্পিয়নস লিগের জন্য বল বানায় অ্যাডিডাস।
গত মৌসুমেও সমালোচনায় পড়েছিল পিউমার বল। কারাবাও কাপের সেমিফাইনালে নিউক্যাসলের কাছে ২-০ গোলে হেরে যাওয়ার পর আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা বলের সমালোচনা করে বলেছিলেন, ‘২৩টা শট নিয়েছি, লক্ষ্যে গেছে মাত্র তিনটা। বলগুলো অনেক উড়ে যায়, গ্রিপও আলাদা।’
তখন ইএফএল পাল্টা জবাব দিয়েছিল, 'সব দলই একই বলে খেলে'। তবে গোলরক্ষক থেকে শুরু করে অনেক খেলোয়াড়ই আর্তেতার সঙ্গে একমত হয়েছিলেন।
কতটা কঠিন এই বল সামলানো, সেটা প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমের শুরুতেই প্রমাণ পাচ্ছে ফুটবল বিশ্ব।
ইএ/টিকে