পাকিস্তানের এশিয়া কাপের টি-টোয়েন্টি দলে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান না থাকা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভি স্পষ্ট করে বলেছেন, দল নির্বাচন প্রক্রিয়ায় তার “এক শতাংশ হাতও নেই”। নির্বাচক কমিটি ও পরামর্শক বোর্ডই এই সিদ্ধান্ত নেন, যা নাকভি সমর্থন করেন।
টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিংটা ঠিক মানানসই না হলেও বাবর আজম বিগত কয়েক বছরের পাকিস্তানের সেরা মেধাবীদের একজন। তার বাদ পড়া তাই কারো কারো কাছে ভালো লাগেনি। দায়টা অনেকে পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভিকে দেওয়ার পক্ষে, দিচ্ছেনও। কিন্তু দায় নিতে নারাজ নাকভি। খেলোয়াড় নির্বাচন প্রক্রিয়ায় তিনি কোনো ভূমিকাই রাখেন না বলে জানালেন।
সাংবাদিকদের নাকভি বলেন, ‘প্রথমত, খেলোয়াড়দের দলে নেওয়া ও বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমার এক শতাংশ হাতও নেই। আমাদের একটা নির্বাচক কমিটি রয়েছে, পরামর্শক বোর্ডও আছে। তারা একত্রে বসে ৮–১০ ঘণ্টা সময় নিয়ে (মাঝে মাঝে) ২–৩ দিন) প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কাজটা করে।’
দল নির্বাচনে কতটুকু অংশ নেন, নাকভি সেটা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নিশ্চিতভাবে, একটা দল নির্বাচন করা হয়, ভালোভাবেই। পেশাদার লোকেরা আছেন। আমি শুধু একটা কথাই বলি, যে সিদ্ধন্তই নেন, সেটা হওয়া উচিত মেধার ভিত্তিতে। আমি সেটাকে সমর্থন করি।’
বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান অনেক দিন ধরেই পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টির বিবেচনায় নেই। তাদের বাদ দেওয়ার পর নতুনদের নিয়ে দল গুছিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড, কয়েকজন অভিজ্ঞও আছেন। ব্যাটিং বিভাগে দলটির টপঅর্ডারে রয়েছেন সাহিবজাদা ফারহান, সাইম আয়ুব, ফখর জামানরা। ফারহান চলতি বছর স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক। ২৫ ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১২৮৩ রান। সেটাও আবার দেড়শর বেশি স্ট্রাইকরেটে। মিডলঅর্ডারের হাসান নাওয়াজ ও হুসাইন তালাতরাও ব্যাট করেন দ্রুতগতিতে।
ইএ/টিকে