ছোট পর্দার অভিনেত্রী হোমায়রা হিমুকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তার ‘প্রেমিক’ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন রুফির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন আসামির অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।
আদালতের পেশকার শিশির হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০২৩ সালের ২ নভেম্বর রাতে হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার মামা নাহিদ আক্তার রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় হিমুর ছেলেবন্ধু জিয়াউদ্দিন রুফিকে আসামি করা হয়। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ৩১ আগস্ট রাফিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তর পশ্চিম থানার এসআই সাব্বির হোসেন।
মামলায় নাহিদ আক্তার অভিযোগ করেন, জিয়াউদ্দিন রুফি হিমুর ছেলেবন্ধু।
ছয় মাস আগে থেকে তিনি নিয়মিত হিমুর বাসায় যাতায়াত এবং মাঝে-মধ্যে রাত্রি যাপন করতেন। ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর রুফির মোবাইল নম্বর ও ভিগো আইডি ব্লক করেন হিমু। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়।
একই বছরের ২ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে রুফি বাসায় এসে কলিংবেল দেন।
ওই বাসায় থাকা মেকআপ ম্যান মিহির দরজা খুলে দিলে তিনি ভেতরে প্রবেশ করেন। মিহির তার রুমে চলে যান। ৫টার দিকে রুফি মিহিরের রুমে গিয়ে চিৎকার করতে করতে বলেন, হিমু আত্মহত্যা করেছেন। তখন মিহির তাকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি তো রুমেই ছিলেন। তখন তিনি বাথরুমে ছিলেন বলে জানান।
মিহির সঙ্গে সঙ্গে হিমুর রুমে গিয়ে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পান। রুমে থাকা দুটি কাচের গ্লাস ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান। তাৎক্ষণিকভাবে তারা দুজন হিমুকে উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তখন হিমুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দুটি রুফি কৌশলে নিয়ে চলে যান।
এসএন