মালয়ালম চলচ্চিত্রশিল্প এবার একেবারেই নতুন পথে হাঁটছে। সুপারহিরো ইউনিভার্সের ধারণা নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই ইন্ডাস্ট্রির প্রথম ধাপেই মিলেছে দর্শকপ্রশংসা। ‘লোকাহ চ্যাপ্টার ওয়ান: চন্দ্রা’ মুক্তির পর গল্প, ভিএফএক্স, অ্যাকশন ও পুরাণঘন উপস্থাপনায় যে সাড়া মিলেছিল, তা দ্বিতীয় অধ্যায়ের আগাম আলোচনাকে আরও তীব্র করেছে।
‘লোকাহ চ্যাপ্টার টু’-তে মূল চরিত্রে থাকছেন তোভিনো থমাস। প্রথম ছবির পোস্ট-ক্রেডিট দৃশ্যে তার চরিত্র ‘চাথন থমাস’-এর আবির্ভাবেই ইঙ্গিত মেলে নতুন গল্পের সূচনার। এ ছাড়া ঝলক দেখা গিয়েছিল তোভিনোরই আরেক বিখ্যাত চরিত্র ‘আরম’-এর মানিয়ানকে ঘিরে এক রহস্যময় আবির্ভাবের। ফলে ভক্তদের মধ্যে জল্পনা আরও বেড়েছে।
প্রথম ছবিতে অতিথি চরিত্রে দেখা গিয়েছিল দুলকার সালমান ও সানি ওয়েনকে। এবার শোনা যাচ্ছে, দ্বিতীয় অধ্যায়ে তাদের ভূমিকাই বাড়তে পারে। পাশাপাশি এক ঝলকে পাওয়া ইঙ্গিত ঘিরে ভক্তদের ধারণা, সুপারহিরো ইউনিভার্সে এবার যুক্ত হতে পারেন মলয়ালম কিংবদন্তি মাম্মুটি। যদি তা সত্যি হয়, তবে ছবিটি নিঃসন্দেহে হয়ে উঠবে ঐতিহাসিক একটি অধ্যায়।
ডমিনিক অরুণ পরিচালিত প্রথম কিস্তি প্রশংসিত হয়েছিল তার ব্যতিক্রমী গল্প বলার ধরন ও দৃষ্টিনন্দন অ্যাকশন দৃশ্যের জন্য। ক্যালানি প্রিয়দর্শনের শক্তিশালী অভিনয়ও ছবিটিকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছিল। সব মিলিয়ে ‘লোকাহ চ্যাপ্টার টু’ কেবল একটি সিক্যুয়েল নয়, বরং মালয়ালম সিনেমায় সুপারহিরো কাহিনির পূর্ণতা দেওয়ার এক বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভক্তদের প্রত্যাশা এখন আকাশছোঁয়া। তোভিনো থমাসের নতুন যাত্রা শুধু এক নায়ককে নয়, গোটা ইন্ডাস্ট্রিকেই নতুন ধারার পথে নিয়ে যেতে পারে যেখানে স্থানীয় পুরাণ, আধুনিক প্রযুক্তি ও বৈশ্বিক সুপারহিরো ঘরানার সমন্বয় ঘটছে একইসঙ্গে।
এমকে/এসএন