গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর সাম্প্রতিক হামলায় সরাসরি সেনা ও পুলিশ সদস্যরা জড়িত থাকার অভিযোগ এবং ঘটনার চারদিনেও দায়ীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছে দলটির নেতৃবৃন্দ। তাদের দাবি, হামলার চারদিন পার হলেও এখন পর্যন্ত সরকার কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করতে পারেনি। একই সঙ্গে হামলাকারীদের রক্ষায় সরকার কার চাপের মুখে নীরব রয়েছে?
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব বক্তব্য দেন।
গণঅধিকার পরিষদের নেতা আবু হানিফ অভিযোগ করে বলেন, ডিএমপি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে জানালেও চার দিন পার হয়ে গেলেও এখনো কোনো কমিটি দেখতে পাইনি। আমরা সরকারকে জিজ্ঞেস করছি, নুরুল হক নুরের ওপর হামলাকারীদের রক্ষায় কারা চাপ দিচ্ছে?
তিনি আরও অভিযোগ করেন, গণমাধ্যমে নুরের ওপর হামলার দৃশ্য প্রকাশ পেলেও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো দুঃখপ্রকাশ বা আশ্বাস পাওয়া যায়নি। আমরা রক্ত দিয়েছি, জেল খেটেছি, নির্যাতন সহ্য করেছি শেখ হাসিনার স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে। সেই রক্তের বিনিময়ে আপনারা আজ দায়িত্বে বসে আছেন। অথচ সেই বিপ্লবীদের ওপরই সেনা ও পুলিশ হামলা চালিয়েছে।
আবু হানিফ বলেন, জাতীয় পার্টির ব্যানারে আওয়ামী লীগকে মাঠে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে এবং গোয়েন্দা সংস্থার তত্ত্বাবধানে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা দাবি করেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হামলার দায় এড়াতে পারেন না, তাই তাকে পদত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি হামলায় জড়িত সেনা সদস্যদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া এবং ব্রিগেডিয়ার জামসের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আরও ঘোষণা দেন, আগামীকাল সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। আমাদের তিন দফা দাবি— এক, নুরুল হক নূরের ওপর হামলাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করা; দুই, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ; তিন, যে কারণে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়েছে, ঠিক একই কারণে জাতীয় পার্টিকেও নিষিদ্ধ করতে হবে।
ইউটি/টিএ