বলিউডের সুপারহিট সিনেমা দাবাং শুধু ব্লকবাস্টারই নয়, বি-টাউনে পুলিশ ইউনিভার্স গড়ে তোলার পথও দেখিয়েছিল। এই ছবির অন্যতম আকর্ষণ ছিল মালাইকা অরোরা’র আইটেম গান মুন্নী বাদনাম হুই, যা এখনও দর্শকদের নাচিয়ে তোলে।
বিজ্ঞাপনেই সিনেমা ও গান নিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলেছে আলোচনা, সম্প্রতি সেই ছবির পরিচালক অভিনব কাশ্যপের বক্তব্যে উঠে এসেছে ভিন্ন তথ্য।
অভিনব দাবি করেছেন, সালমান খান ও আরবাজ খান প্রথমে একেবারেই রাজি ছিলেন না মালাইকাকে দিয়ে আইটেম গান করানোর বিষয়ে। কারণ হিসেবে তিনি জানান, আরবাজ তৎকালীন স্ত্রীকে ‘আইটেম গার্ল’ হিসেবে দেখাতে চাইছিলেন না। অন্যদিকে সালমানের রক্ষণশীল মনোভাবও বড় বাধা ছিল।
অভিনব বলেন, ‘সালমান আর আরবাজ মুখে যাই বলুক, আসলে তারা রক্ষণশীল মুসলমান। বিশেষ করে পোশাক নিয়ে মালাইকার সঙ্গে সালমানের মত পার্থক্য ছিল। সালমান চাইতেন নারীরা ঢেকে থাকুক। তাই তারা চাইছিলেন না মালাইকা গানটি করুন।’
তবে মালাইকা নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন। পরিচালকের ভাষায়, ‘মালাইকা একজন শক্তিশালী ও স্বাধীনচেতা নারী। প্রস্তাব পাওয়ার পর তিনি নিজের মতো করেই হ্যাঁ বলেছিলেন।’
পরে পরিচালক আরবাজকে বোঝান যে এটি কেবল নাচ, কোনো অশ্লীলতা নয় এবং পরিবারের উপস্থিতিতে শুটিং হবে। অবশেষে রাজি হন আরবাজ।
শুরুতে এই গানে সালমানের কোনো অংশ ছিল না। কিন্তু গানটি যে ব্লকবাস্টার হবে, তা বুঝতে পেরে পরবর্তীতে ভাইজানও যোগ দেন শুটিংয়ে।
দাবাং মুক্তির পর থেকেই খান পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় অভিনব কাশ্যপের। পরের কিস্তি দাবাং ২ পরিচালনা করেন আরবাজ খান নিজে, আর তৃতীয় পর্বের পরিচালক ছিলেন প্রভু দেবা। সদ্য ১৫ বছর পূর্ণ করেছে দাবাং। এ উপলক্ষে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সালমানকে ‘গুন্ডা’ বলতেও পিছপা হননি অভিনব।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে আরবাজ ও মালাইকা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। ১৮ বছরের সংসার ভেঙে ২০১6 সালে আলাদা হন তারা। পরের বছর তাদের বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়। বর্তমানে আরবাজ সুরা খানের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনে আছেন।
এএইচ/টিএ