শুধু রূপ-গুণেই নয়, ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের ব্যক্তিত্ব ও বাকশৈলীতেও মুগ্ধ অসংখ্য ভক্ত। আন্তর্জাতিক পরিসরে তিনি স্বচ্ছন্দে ইংরেজি ভাষায় সাক্ষাৎকার দেন। তার শব্দভাণ্ডার ও উচ্চারণ আজও প্রশংসিত। তবে ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ইংরেজি নিয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না বলেই জানা যায়। বরং বিশ্বসুন্দরীর মঞ্চেও ইংরেজিতে দুর্বলতা তাকে ভুগিয়েছে!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুসারে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক প্রহ্লাদ কক্কড় এ বিষয়ে কথা বলেছেন। তার দাবি, মিস ইউনিভার্সের আসরে সুস্মিতা সেন বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব পাওয়ায় বেশ মন খারাপ হয়েছিল ঐশ্বরিয়ার। প্রশ্নোত্তর পর্বে সুস্মিতা বেশি নম্বর পেয়েছিলেন। কারণ তার ইংরেজি বেশ ভালো ছিল।
এর আগে, মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় সুস্মিতার কাছে হারেন ঐশ্বরিয়া। সেখানেও ইংরেজি ভাষায় বেশি দক্ষতার কারণেই ঐশ্বরিয়াকে হারাতে পারেন সুস্মিতা, এমনটাই গুঞ্জন রয়েছে।
পরিচালক প্রহ্লাদের মতে, আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিই সেদিন ঐশ্বরিয়ার পারফরম্যান্সে ধরা পড়ে। যদিও সুস্মিতা সেন বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব পাওয়ার পর একই বছর মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় শিরোপা জেতেন ঐশ্বরিয়া।
প্রহ্লাদ জানান, তখনও ‘হাই হিল’ পরার অভ্যাস তৈরি হয়নি অভিনেত্রীর। প্রতিযোগিতার নিয়মে সেই ধরনের জুতা পরতে বাধ্য হওয়ায় তিনি বারবার অস্বস্তিতে পড়েছিলেন। ফলে উত্তর দেওয়ার সময় মনোযোগ ভেঙে যাচ্ছিল, কথার মাঝেই হোঁচট খাচ্ছিলেন।
প্রথমে মাতৃভাষায় উত্তর ভেবে পরে ইংরেজিতে অনুবাদ করে বলার চেষ্টা করতেন ঐশ্বরিয়া—এমনটিই জানান প্রহ্লাদ। তার কথায়, ‘কর্মজীবনের প্রথম দিকটায় ইংরেজিতে সহজভাবে কথা বলার আত্মবিশ্বাস ছিল না ওর মধ্যে।
তুলু বা হিন্দি ভাষায় কথা বলতেই বেশি স্বচ্ছন্দ থাকত। ইংরেজিতে কম কথা বলত বলেই অনেকে ভাবত ও অহংকারী। আসলে ভয় ছিল, যদি স্পষ্টভাবে নিজের বক্তব্য প্রকাশ করতে না পারে।’
যদিও পরিচালক মনে করেন, খুব কম কথা বললেও ধীরে ধীরে নিঃশব্দে আত্মবিশ্বাস তৈরি করেছিলেন ঐশ্বরিয়া। আর সেই আত্মবিশ্বাসই পরবর্তীতে তাকে কর্মজীবনে উন্নতির পথে এগিয়ে দেয়।
কেএন/টিকে