জয় দিয়ে সুপার ফোরের যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। লঙ্কানদের হারালেও ভারতের সঙ্গে লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত হেরেছে টাইগাররা। তাই পাকিস্তানের বিপক্ষে আজকের ম্যাচটি অলিখিত সেমি ফাইনালে পরিণত হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে বল হাতে দুর্দান্ত পারফম করেছেন বাংলাদেশি বোলাররা। তাসকিন-মুস্তাফিজদের তোপের মুখে দেড়শর আগেই থেমেছে পাকিস্তান।
দুবাইতে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান করেছে পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেছেন মোহাম্মদ হারিস। বাংলাদেশের হয়ে ২৮ রানে ৩ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার তাসকিন আহমেদ।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে আজ ইনিংস ওপেন করেন এক ম্যাচ পর একাদশে ফেরা তাসকিন আহমেদ। ব্রেকথ্রু এনে দিতে এই পেসার সময় নেন মাত্র চার বল। চতুর্থ বলটি অফ স্টাম্পের খানিকটা বাইরে ভালো লেংথে করেছিলেন তাসকিন, সেখানে স্কয়ার ড্রাইভ করতে গিয়ে ব্যকওয়াড পয়েন্টে রিশাদ হোসেনের হাতে ধরা পড়েন সাহিবজাদা ফারহান। সাজঘরে ফেরার আগে ৪ বলে ৪ রান করেছেন তিনি।
পরের ওভারেই স্পিন আক্রমণে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক জাকের। নতুন বলে আস্থা রাখেন শেখ মেহেদির ওপর। আক্রমণে এসেই অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন এই অফ স্পিনার। মেহেদিকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অনে রিশাদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন সাইম আইয়ুব। ৩ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন ফখর জামান ও সালমান আলি আগা। দুজনে মিলে পাওয়ার প্লের বাকি ওভারগুলো দেখে-শুনে খেলেছেন। তবে পাওয়ার প্লেতে মাত্র ২৭ রান তুলতে পেরেছে তারা। তাই পাওয়ার প্লে শেষে বড় শট খেলতে যান ফখর।
সপ্তম ওভারের তৃতীয় বলটি অফ-মিডল স্টাম্পের ওপর করেছিলেন রিশাদ হোসেন। সেখানে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দিয়েছেন ২১ বলে ১৩ রান করা ফখর।
নিজের পরের ওভারে ফিরে আবারো উইকেট পেয়েছেন রিশাদ। এবার তার শিকার হুসেইন তালাত। ৭ বল খেলে ৩ রান করেছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলার চেষ্টা করছিলেন সালমান আলি আগা। তবে ২৩ বল খেলে ১৯ রানের বেশি করতে পারেননি পাকিস্তান অধিনায়ক।
৪৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারানোর পর উইকেটে আসেন শাহিন আফ্রিদি। প্রমোশন দিয়ে তাকে ওপরের দিকে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হয়েছিল দ্রুত রান তুলে দেওয়ার জন্য। সেই পরিকল্পনায় কিছুটা হলেও সফল পাকিস্তান। একাধিক জীবন পাওয়া শাহিন ১৩ বলে করেছেন ১৯ রান।
৭১ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানো পাকিস্তানের সামনে তিন অঙ্ক ছোঁয়াটাও কঠিন মনে হচ্ছিল। তবে শেষদিকে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন মোহাম্মদ হারিস ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। অন্যদিকে এই সময়ে বাজে ফিল্ডিং করেছে বাংলাদেশ। ২৩ বলে ৩১ রান করেছেন হারিস। আর নাওয়াজ করেছেন ১৫ বলে ২৫ রান।
বাংলাদেশের হয়ে ২৮ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ। এ ছাড়া মুস্তাফিজুর রহমান ও রিশাদ হোসেন দুটি করে উইকেট পেয়েছেন।
ইএ/টিএ