রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও উপস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেছেন, জুলাই ২০২৪-এ রাজপথে যে তরঙ্গ উঠেছিল তা কেবল এক সরকার বদলের গল্প নয়। এটা রাষ্ট্রকে নৈতিকভাবে নতুন করে ভাবার আমন্ত্রণ। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী ব্যবস্থায় নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়া ঘটনাপুঞ্জটাকে বিশ্ব দৃষ্টি এনে দিয়েছে। কিন্তু ইতিহাস আমাদের বলে ভাজ্যিক রূপান্তর আর অভ্যন্তরীণ রূপান্তর এক জিনিস নয়।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলের এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
জিল্লুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট অবশ্য আলাদা। একদিকে আছে তৈরি পোশাক শিল্প, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাপ্তিকারক হিসেবে কয়েক দশকের সাফল্য। যেখানে প্রায় চার মিলিয়ন মানুষের কর্মজীবন জড়িয়ে।
অন্যদিকে আছে মুদ্রাস্ফীতিতে নগদ মজুরি। তরুণ বেকারত্বের চাপ, জ্বালানি ডলারের সংবেদনশীলতা, ব্যাংকিং শাসনের ফাঁকফোকর— যেগুলো অনুভূত না হলে রাজপথ এত তাড়াতাড়ি গর্জে উঠতো না।
জিল্লুর বলেন, ২০২৪-২৫ এ রাজনৈতিক পালাবদলের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নজরদারী, আঞ্চলিক রাজনীতির টানাপড়েন সব মিলিয়ে এক পরীক্ষাকাল। জাতিসংঘের সপ্তাহে নিউইয়র্কে অন্তর্বর্তী সরকারের উপস্থিতি, প্রতিবাদ-প্রতিস্বর, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে উত্তাপ এসব খবর দেখায়— দৃষ্টিটা এখন গ্লোবাল।
ভুল করলে তার মূল্যও গ্লোবাল।
জিল্লুর আরো বলেন, মানুষের জীবনে আজই কিছু বদল না এলে আগামীকালের ওপর আস্থা টেকে না। এখানে লক্ষ্যভিত্তিক নগদ সহায়তা, কম আয়ের শ্রমিকদের মজুরি সাপোর্ট, শ্রমঘন জন কর্মসূচি, নূনতম জীবনরেখার ইউটিলিটি এসব ফার্স্ট অর্ডার সিদ্ধান্ত হতে পারে। এগুলো কেবল কল্যাণ নীতি নয় গণতন্ত্র রক্ষার সেফটি।
এসএন