চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড ও জিহং মেডিক্যাল কম্পানির গুদামে লাগা আগুন ছয় ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ২টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ভয়াবহ এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের এখন পর্যন্ত ৮টি স্টেশনের ২৩টি ইউনিট কাজ করছে। পাশাপাশি নৌবাহিনীর কয়েকটি ইউনিটও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
টানা ৬ ঘণ্টা ধরে চেষ্টা করেও রাত ৮টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বরং আগুন আরো ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘটনার সময় আটতলাবিশিষ্ট ওই প্রতিষ্ঠানে সাত শতাধিক শ্রমিক-কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছিলেন। ভবনের সাততলায় আগুন লাগার খবরে সবাইকে সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন বলে মালিকপক্ষ দাবি করেছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, সাততলায় আগুন লাগার পর দ্রুত ছয়তলা ও পাঁচতলায় ছড়িয়ে পড়েছে। দুপুরে আগুন লাগার পর নামতে গিয়ে এবং আগুনের ধোঁয়ায় কয়েকজন আহত হয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভয়াবহ এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের ২৩টি ইউনিট কাজ করছে। সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনীও কাজ করছে। তবে লোকজনের কোনো ক্ষতি হয়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগবে।’
এ দিকে রাত ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তারা জানান, এখন পর্যন্ত সিইপিজেড, আগ্রাবাদ, বন্দর, নন্দনকানন, হালিশহরসহ ফায়ার সার্ভিসের ৮টি স্টেশনের ২৩টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে। সাততলায় আগুনের সূত্রপাত হলেও কিভাবে লেগেছে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
এদিকে ভয়াবহ এই আগুনের ঘটনায় ইপিজেড এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ধোঁয়ায় পুরো এলাকা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন সড়কে যানচলাচল বন্ধ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। ৫ নং সড়কে ওই কারখানায় ফায়ার সার্ভিসের একের পর এক ইউনিট আসছে। তবে আগুন যেভাবে বাড়ছে তাতে আশপাশে কারখানাগুলোও ঝুঁকিতে রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। সেই সঙ্গে ওই ভবনটিও ধসে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ভেতরে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পোহাতে হচ্ছে। কারখানার মালিকপক্ষ জানিয়েছে, ভেতরে কোনো শ্রমিক আটকে নেই।
কেএন/টিএ