হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ‘ফায়ার সার্ভিসকে দেরি করে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে’ সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অভিযোগের জবাবে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেছেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের কোনো গাড়িকে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা স্পষ্ট বলেছেন, কোনো ইউনিটকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়নি। শুধু দুটি ভেহিকেল বাইরে রাখা হয়েছিল নিরাপত্তার কারণে, কারণ ওই গাড়িগুলোতে দাহ্য অক্সিজেন ও বিশেষ কেমিক্যাল ছিল।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বেবিচক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, আগুন লাগার ১৫ মিনিটের সময় ব্যবধান নিয়ে অনেকে কথা বলছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, তারা ২টা ৩০ মিনিটে খবর পায় এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। হোস পাইপ ব্যবহার না করার অভিযোগও সত্য নয়। প্রচুর হোস পাইপ ব্যবহার করা হয়েছে কিছু ফেটে গেছে, তাতে গতি কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। তবে ফায়ার ফাইটাররা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, যে এলাকায় আগুন লাগে, সেখানে বিপুল পরিমাণ মালামাল জমে ছিল, যার অনেকটাই গার্মেন্টস সম্পর্কিত দাহ্য পদার্থ। এই স্তুপের কারণে ফায়ার ভেহিকেল সরাসরি ভেতরে ঢুকতে পারেনি।
আইকাও মানদণ্ড নিয়ে প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, এই দুর্ঘটনায় আইকাও এর মানদণ্ডে আমরা নিচে নামব না। তদন্ত শেষে যে সুপারিশ আসবে, আমরা তা বাস্তবায়ন করব। এতে আমাদের অবস্থান আরও শক্ত হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো গুজব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে আমাদের উচিত হবে গুজবে কান না দেওয়া। তদন্ত চলছে, যে কোনো গাফিলতি বা ত্রুটি তদন্তেই বেরিয়ে আসবে।
এবি/টিকে