চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চলতি মাসে চাল আমদানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, অক্টোবর মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত এ পথে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৯ হাজার ৯০০ মেট্রিক টন চাল। অথচ গত সেপ্টেম্বর মাসে একই বন্দর দিয়ে আমদানি হয়েছিল ২৭ হাজার ৮৬৬ মেট্রিক টন।
অক্টোবরের প্রথমার্ধের তুলনায় পরের ১১ দিনে প্রায় ৬ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন বেশি চাল আমদানি হয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে মাসের হিসাবে আমদানির পরিমাণ কমেছে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ।
আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে বাণিজ্য কার্যক্রম কিছুটা ধীরগতি ছিল। একই সঙ্গে দেশের বাজারে চালের দাম কমে যাওয়ায় আমদানি কমেছে। ফলে সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবর মাসে আমদানির পরিমাণ স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা কমে এসেছে।
এদিকে, সোনামসজিদ স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সমীর চন্দ্র ঘোষ জানান, চলতি অর্থবছর (২০২৫-২৬)-এর চাল আমদানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে গত ১৯ আগস্ট থেকে। সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে মোট ৪৪ হাজার ৩৭৩ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘চলতি মাসের ২২ অক্টোবর সরকার নতুন করে আরও ১ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। ফলে আগামীতেও চাল আমদানি অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
ব্যবসায়ী সূত্রে আরও জানা গেছে, চলতি বছর দেশে বোরো ধানের ফলন ভালো হলেও জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত চালের দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছিল ৬ থেকে ৯ টাকা পর্যন্ত। তবে আগস্টের শেষ দিক থেকে অক্টোবরে দাম প্রায় স্থিতিশীল থাকলেও সাম্প্রতিক এক সপ্তাহে প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা কমেছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, আমদানি বাড়ায় বাজারে সরবরাহ বেড়েছে-যার প্রভাব পড়ছে পাইকারি দরে। সরকার অনুমোদিত আমদানি ও পর্যাপ্ত অভ্যন্তরীণ মজুতের কারণে চালের দাম ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হচ্ছে।
কেএন/টিকে