অনেকে জ্ঞান অর্জন করলেও উপলব্ধি করতে পারে না : শিবির সভাপতি

ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, পৃথিবীতে অনেকে জ্ঞান অর্জন করে, কিন্তু উপলব্ধি করতে পারে না। আপনারা বেশি বেশি পড়বেন, উপলব্ধি করবেন। জ্ঞানকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়– একটা দুনিয়াবি আর একটা পরকালীন। কিন্তু এটা ভাগ হওয়া উচিত উপকারী ও অপকারী হিসেবে।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ প্রাঙ্গণে ছাত্রশিবির আয়োজিত কবি মতিউর রহমান মল্লিক মেরিট অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, কিছু মানুষের ক্ষেত্রে অর্জনের পরবর্তী ধাপ হয় হিংসা। শয়তান অহংকার করেছিল, সামুদ জাতি বিরাট অট্টালিকা তৈরি করেছিল, ফেরাউন-নমরুদ অনেক সম্পদের মালিক ছিল, এবং তারা অহংকার করেছিল।

অহংকার ও জুলুম একসময় পতনের দিকে নিয়ে যায়। তাই আমি চাই আপনারা অহংকার করবেন না, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করবেন। আল্লাহ আপনাদের আরও বাড়িয়ে দিবেন।

সংস্কৃতি, শিক্ষার অবস্থা ও দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পশ্চিমারা মানবতার কথা বলে, কিন্তু তারা ভোগবাদী। তারাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ লাগিয়েছিল। হিরোশিমা-নাগাসাকিতে তারাই বোমা বর্ষণ করেছিল। আমাদের আজকের শিক্ষা ব্যবস্থা যেভাবে ঢেলে সাজানোর কথা ছিল, সেভাবে সাজানো হয়নি। আর একটা বড় বিষয় দুর্নীতি। একটা জায়গায় দুর্নীতি নিয়ে কথা বলছিলাম— যদি বাংলাদেশের দুর্নীতিটা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এ দেশে যারা শিক্ষিত তারা দুর্নীতি করে, কোনো কৃষক, রিকশাচালক নয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, ৯২ শতাংশ মুসলিমের দেশে মুসলিম হওয়া অপরাধ। বিগত বছরগুলোতে আমার এমনই মনে হয়েছে। আমাদের এখানে সবকিছু করার স্বাধীনতা আছে, এখানে সবচেয়ে বেশি যেটা হয় ধর্মীয় উৎসব। আমরা আমাদের যেকোনো সংকটে মসজিদে যাই। আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই। আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তথা দেশের যেন কল্যাণ হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. আলী আফজাল বলেন, আজকের শিক্ষা ব্যবস্থা সৎ নাগরিক সৃষ্টি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এ শিক্ষা ব্যবস্থা উদ্যোক্তা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই শিক্ষা ব্যবস্থা স্বমূলে উপড়ে ফেলে নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮টি বিভাগ ও দুটি ইনস্টিটিউট মিলিয়ে প্রায় ২৫০ শিক্ষার্থীকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এর সঙ্গে উপহার হিসেবে মগ, কলমদানি, কোরআন-সিরাত গ্রন্থ, উত্তরীয়, নোটপ্যাড ও কলম দেওয়া হয়।

এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য খাবারেরও আয়োজন করা হয়।

আইকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
প্রকাশ্যে এলো ভারতীয় ক্রিকেটার ওয়াশিংটন সুন্দরের প্রেমিকার পরিচয় Oct 29, 2025
img
১,১৫০ ফুট উঁচুতে বিশ্বকাপ স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা সৌদি আরবের Oct 29, 2025
img
নাইটহুড সম্মাননা পেলেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ক্রিকেটার অ্যান্ডারসন Oct 29, 2025
img
শেখ হাসিনার ইন্টারভিউ এখন পৃথিবীর কোন সাংবাদিক নিতে চাইবেন না: খালেদ মহিউদ্দীন Oct 28, 2025
img
১ বছরে ২৫৮টি রফতানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়েছে: বিজিএমইএ সভাপতি Oct 28, 2025
img
চট্টগ্রামে জুলাই আন্দোলনে হামলা চালানো সাবেক আ.লীগ নেতা আটক Oct 28, 2025
img
ব্রাজিলে অপরাধচক্রের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান, নিহত ২০ Oct 28, 2025
img
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরল আরও ১৭৪ বাংলাদেশি Oct 28, 2025
img
সেদিন আ.লীগের নৃশংসতা অবাক বিস্ময়ে দেখেছে বিশ্ববাসী: রাশেদ প্রধান Oct 28, 2025
img
অস্ত্রোপচারের পর সম্পূর্ণ সেরে উঠেছেন শ্রেয়াস আইয়ার Oct 28, 2025
img
‘সাইয়ারা’র বিলবোর্ডে চোখ রেখে ছেলেকে জড়িয়ে ধরলেন আহানের মা Oct 28, 2025
img
ট্রেলারেই বাজিমাত করলেন রবি তেজা-শ্রীলীলা Oct 28, 2025
img
ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায় ২৮ অক্টোবর : মুহাম্মদ শাহজাহান Oct 28, 2025
img
গাজায় ‘শক্তিশালী’ হামলা চালানোর নির্দেশ নেতানিয়াহুর Oct 28, 2025
img
গণভোট নির্বাচনের আগে হলে দলীয় প্রভাবমুক্ত থাকবে: সারজিস Oct 28, 2025
img
ঢাবিতে প্রকাশ্যে কাজ করতে পারতাম না, গোপনে নামাজ পড়তে হতো: আজহারুল ইসলাম Oct 28, 2025
img
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের বিকল্প নেই: তাহের Oct 28, 2025
img
জামায়াতকে পিআর নিয়ে আরও পড়াশোনার পরামর্শ নাসীরুদ্দীনের Oct 28, 2025
img
বিপিএলের ফিক্সিং নিয়ে ৯০০ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিসিবিতে Oct 28, 2025
img
প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে থাইল্যান্ড থেকে ফিরল বাংলাদেশ Oct 28, 2025