ঐকমত্য কমিশনের তুলে ধরা জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখাকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী স্বাগত জানিয়েছে বলে জানান দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সময় সংবাদকে তিনি এ কথা জানান।
সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন,
গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগেই হওয়া উচিত বলে মনে করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের বিকল্প নেই। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের জনগণ উপকৃত হবে।
এদিকে, নির্বাচন কমিশনে সিইসিসহ চার কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেছে জামায়াতের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল। বৈঠক শেষে দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, নভেম্বরে গণভোট এবং জোট করলেও শরিকদের নিজ প্রতীকে ভোটের বিধান বহাল রাখার দাবি জানানো হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকসহ সমমনা প্রতিষ্ঠানের কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে তিনি অভিযোগ করেন, কর্মকর্তাদের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন নিয়ে বিএনপির আপত্তি রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত।
এদিন দুপুরে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কিত সুপারিশ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তিন ধাপে আইনি ভিত্তি দেয়া হবে জুলাই জাতীয় সনদের। প্রথমে অন্তর্বর্তী সরকার সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করবে। এরপর নেয়া হবে গণভোট। গণভোটে পাস হলে ২৭০ দিনের মধ্যে সেই আদেশ বাস্তবায়ন করবে নির্বাচিত সংসদ। সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. রীয়াজ জানান, কিছু বিষয় অফিস আদেশের মাধ্যমেও বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর নোট অব ডিসেন্টের বিষয়গুলো গণভোটে উল্লেখ থাকবে না।