ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ‘প্রেসিডেন্টের পদ শূন্য হলে’ তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে হুসেইন আল-শেখের নাম ঘোষণা করেছেন। ৮৯ বছর বয়সী আব্বাস রবিবার ঘোষণা করেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্টের পদ শূন্য হলে এবং লেজিসলেটিভ কাউন্সিলের (পার্লামেন্ট) অনুপস্থিতিতে ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পর থেকে তা অকার্যকর রয়েছে।
নতুন এই সাংবিধানিক ঘোষণার অর্থ হলো আল-শেখ, যাকে আব্বাস এই বছরের এপ্রিলে পিএলওর প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন, নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ হলে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট হতে পারেন।
ফাতাহ আন্দোলনের একজন বর্ষীয়ান নেতা আব্বাস ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে ফিলিস্তিনি জাতীয় আন্দোলনে সক্রিয় রয়েছেন। ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর পর ২০০৫ সালে তিনি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট হন। ফাতাহ ও হামাসের মধ্যে জাতীয় বিভেদ এবং জেরুজালেমে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ইসরায়েলি নীতির কারণে ফিলিস্তিনিরা সর্বশেষ ২০০৮ সালে নির্বাচন করেছিল, যার মাধ্যমে তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন।
ঘোষণায় বলা হয়েছে, আল-শেখ অনধিক ৯০ দিনের জন্য সাময়িকভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন। এই সময়ের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ওয়াফা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, নির্বাচন যদি ‘অনিবার্য কারণে’ সময়মতো অনুষ্ঠিত না হতে পারে, তবে ফিলিস্তিনি কেন্দ্রীয় কাউন্সিল শুধুমাত্র একবার অতিরিক্ত মেয়াদের জন্য সময় বাড়াতে পারে।
আব্বাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘স্থিতিশীলতা বজায় রাখার সর্বোচ্চ জাতীয় স্বার্থে, আমরা এই সাংবিধানিক ঘোষণা জারি করেছি, যাতে ক্ষমতার বিভাজন এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের নীতি নিশ্চিত করা যায়।’
সূত্র : আরব নিউজ
এসএস/টিএ