দেশের গণমানুষের জন্য বিদ্যুৎ সমতা এবং সুবিচার নিশ্চিতে ভর্তুকি দিয়ে হলেও বিদ্যুতের দাম স্বাভাবিক রাখার সব ধরনের চেষ্টা চলমান রাখতে কাজ করা হচ্ছে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
শনিবার (১ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘ক্যাব যুব সংসদ’ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ফরিদা আখতার বলেন, দেশে বিদ্যুতের দাম স্বাভাবিক রাখতে প্রতি বছর ৪০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়। তবে ভর্তুকি দিয়ে হলেও বিদ্যুতের দাম স্বাভাবিক রাখা হবে।
কতদিক থেকে ৪০০ কোটি টাকা খরচ হয়ে যায় তার হিসাব থাকে না এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণের সুবিধার কথা বিবেচনা করে টাকার অঙ্কের দিকে তাকানোর সুযোগ এখানে নেই। এরইমধ্যে এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এখন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) অনুমোদন পেলে পুরো প্রক্রিয়া সহজ হবে।
এ সময় তিনি উল্লেখ করেন, রাঙামাটির ২২০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুতের সুবিধা সেই অঞ্চলের মানুষই পায় না। গরমে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ লাগে ৪০ মেগাওয়াট, শীতে ৩০ মেগাওয়াট। এতটুকু বিদ্যুৎ তাদের দেয়া হয় না।
রাঙামাটিতে জলবিদ্যুৎ অথচ সেখানেই দিনে ৫ থেকে ৬ বার করে লোডশেডিং হয়৷ রাজধানীতেও নিম্নবিত্তদের এলাকায় লোডশেডিং হয়। অথচ উচ্চবিত্তদের এলাকায় কোনো লোডশেডিং নেই। এটাই বিদ্যুৎ ব্যবহারে অবিচারের বড় উদহারণ বলেও জানান তিনি।
ইএ/টিকে