সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাবনা বাতিলের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এই বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদনের বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে। প্রাথমিকভাবে সারা দেশে ২ হাজার ৫০০ ক্লাস্টারে সমসংখ্যক শরীরচর্চা ও সংগীত শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
তবে সচিব কমিটির পর্যালোচনার পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।
সচিব কমিটি মনে করে, প্রকল্পটির পরিকল্পনায় ত্রুটি ছিল। এত অল্পসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ দিলে তা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে কার্যকর কোনো সুফল আনবে না; বরং এতে বৈষম্যের সৃষ্টি হবে। বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
এই বিপুলসংখ্যক বিদ্যালয়ের মধ্যে সীমিত পরিসরে ক্লাস্টারভিত্তিক নিয়োগ দিলে একই শিক্ষককে ২০টিরও বেশি বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে, যা বাস্তবসম্মত নয়।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, পর্যাপ্ত অর্থের সংস্থান হলে ভবিষ্যতে সব স্কুলে পৃথকভাবে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষকের পদ সৃষ্টির বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে।
সরকার জানায়, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশের জন্য সহপাঠ কার্যক্রমের গুরুত্ব সম্পর্কে তারা অবগত, তবে যেকোনো নতুন পদ সৃষ্টি ও নিয়োগ কার্যক্রম বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা বিবেচনা করেই করা হবে।
এমআর/টিএ