মৈথিলী ঠাকুরকে নেটিজেনরা চেনেন তার ইউটিউব ও ফেসবুকের ভিডিওতে দেখে। সেসব ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি গাইছেন আর দুই ভাই যন্ত্রসংগীত বাজাচ্ছে। সামাজিকমাধ্যমে খুবই জনপ্রিয় এই মৈথিলী ঠাকুর এবার ভারতের বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি থেকে প্রার্থী হয়েছেন। রাজ্যের আলিনগর থেকে তিনি নির্বাচন করছেন।
২০১৭ সালে মৈথিলী ঠাকুর টেলিভিশন গানের প্রতিযোগিতা ‘রাইজিং স্টার’-এর ১ম সিজনে প্রতিযোগী ছিলেন। মৈথিলী ছিলেন অনুষ্ঠানের প্রথম ফাইনালিস্ট, তিনি ‘ওম নমঃ শিবায়’ গেয়ে সরাসরি ফাইনালে প্রবেশ করেন। তবে মাত্র দুটি ভোটে হেরে রানার আপ হন। অনুষ্ঠানের পর, তার সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
মৈথিলীর বয়স বর্তমানে ২৫।
মৈথিলী গত মাসের ২৪ তারিখে বিজেপি যোগ দেন। এরপর তিনি বিজেপি থেকে আলিনগর থেকে নির্বাচনের টিকিট পান। অবশ্য আগেভাগেই ইঙ্গিত পেয়ে তিনি দলে যোগ দিয়েছিলেন।
বিজেপিতে যোগদানের সময় মৈথিলী এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বিহারের মানুষের সেবা করতে চাই। লোকসংগীতের মাধ্যমে বিহারের মানুষের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছি। তাই বিদেশেও যেতে চাইনি। এই সংস্কৃতিকে বহন করে নিয়ে যেতে চাই।’
কয়েক বছর আগেও রাজনীতিতে তাঁর আগ্রহ ছিল না।
কিন্তু প্রিয় নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য শোনার পর তিনি রাজনীতির দিকে আকৃষ্ট হন। তাঁর ভাষায়, ‘মোদিজি যুব সমাজের জন্য অনুপ্রেরণা। তাঁর নেতৃত্বে কাজ করতে পারাটা আমার সৌভাগ্য।’
ঠাকুর মনে করেন, মানুষের সেবা করতে হলে ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব প্রয়োজন, আর রাজনীতি সেটা দেয়। লড়াইয়ের জন্য তিনি প্রস্তুত জানিয়ে বলেন, ‘আমি বিহারের মানুষের আশীর্বাদ চাই।
তাঁদের ভালোবাসা পেয়েছি। কিন্তু নির্বাচনে দাঁড়ালে সমর্থনও চাইব। নিজেকে প্রমাণের জন্য একটা সুযোগ চাই।’
আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে মোট ২৪৩টি আসনে ভোট হবে দুই দফায়—৬ ও ১১ নভেম্বর। ফল ঘোষণা হবে ১৪ নভেম্বর। রাজ্যে এন.ডি.এ জোটের মধ্যে বিজেপি ও জে.ডি.ইউ লড়বে ১০১টি আসনে করে, এল.জে.পি (রাম বিলাস) ২৯টি আসনে, রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা ৬টি এবং হাম ৬টি আসনে।
অন্যদিকে, তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোটে রয়েছে আরজেডি, কংগ্রেস, সিপিআই(এম), সিপিআই(এমএল) এবং মুখেশ সাহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি।
আইকে/এসএন