নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হলো আস্থাহীনতা। এটি অস্বীকার করার সুযোগ নেই। এই আস্থাটাকে পুনরুদ্ধার করার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং যাব। তবে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সহযোগিতা ছাড়া নির্বাচন কমিশনের পাঁচজনের পক্ষে ভালো নির্বাচন দেওয়া সম্ভব না।’
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ছয়টি দলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন সংলাপে সভাপতিত্ব করেন।
ইসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এবার কিন্তু আমাদের জন্য একটা সুযোগ, এবারের নির্বাচন যদি আমরা ভালো না করতে পারি, তাহলে কিন্তু নদীর মাঝখানে নৌকাটা এমন নড়াচড়া করলে ডুবে যাবে।’
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের জন্য পৃথক ভোটার তালিকা করা হবে। তারা ১৮ নভেম্বর থেকে অ্যাপে (পোস্টাল ভোট বিডি) নিবন্ধন করবেন। তবে দেশের ভেতর থেকে যারা এখন আবেদন করছেন তারা আগামী সংসদ নির্বাচনের ভোটার তালিকায় যুক্ত হতে পারবেন না। কেননা, এটার সময় অক্টোবরে শেষ হয়েছে। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে সম্ভবত আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করবো না। এতে পাবলিকের টাকা নষ্ট হচ্ছে।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ আরও বলেন, প্রবাসীদের ভোট ব্যবস্থার জন্য আমরা ট্রায়াল ছাড়াই প্রধান উপদেষ্টার অঙ্গীকার রক্ষার্থে এক্সারসাইজটা হাতে নিয়েছি। আপনাদের সবার সহযোগিতা প্রয়োজন এবং আমরা ধরেই নিচ্ছি এর মধ্যে ছোটখাট ত্রুটি বিচ্যুতি থাকবে। কিন্তু থাকলেও আমরা প্রথমবারের মতো এটা করার চেষ্টা করছি এবং এখানে সবার সহযোগিতা লাগবে, যাতে আমরা শুরুতেই বড় ধরনের হোঁচট না খাই। কিছু ভোটার বাদ পড়ে যাবেন, এটা একটা বাস্তবতা। কারণ বাংলাদেশে প্রবাসী বাংলাদেশি যারা আছেন তারা অনেকেই হয়তো ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে সচেতন ছিলেন না।
নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদ আহমেদ বলেন, ভোটার তালিকায় ৬ কোটি পুরুষ আর ৬ কোটি নারী; ফিফটি ফিফটি। সবাই বলেন যে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। আমার কাছে অংশগ্রহণমূলক মানে হলো ফিফটি ফিফটি। মানে নারী-পুরুষ সবাই যেন সমান সুযোগ পায়। অস্বীকার করার উপায় নেই আমাদের যে সমাজ, সেটা পুরুষ প্রধান সমাজ। এটা মেনে নিতেই হবে। কাজেই আমাদের পুরুষরা যদি নারীদের সহযোগিতা না করি তাহলে কিন্তু তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তাই আমার অনুরোধ রইলো আপনারা সেটার দায়িত্ব নেবেন। নারীরা যাতে ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারে।
টিজে/টিএ