শেখ হাসিনার রায় ঘিরে ৩ বিচারক ও প্রসিকিউটরদের হত্যার হুমকি, গ্রেফতার ১

জুলাই আন্দোলনে মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার রায় ঘিরে ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারক ও প্রসিকিউটরদের হত্যার হুমকির ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন প্রসিকিউশনের বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছেন তিনি। এরমধ্যে ভোলা থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিচারপতি ও প্রসিকিউটরের ছবি ছড়িয়ে দিয়ে হুমকির সাথে জড়িত বেশ কয়েকটি ফেসবুক পেজ ও ব্যক্তিকেও শনাক্ত করার কথা জানিয়েছেন তানভীর হাসান জোহা।

জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তার বিরুদ্ধে আনা ৫টি অভিযোগের মধ্যে তিনটিতে মৃত্যুদণ্ড এবং দুটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই রায় ঘোষণা করেন।

এ ছাড়া, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। মামলায় রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রায়ে শেখ হাসিনা ও কামালের দেশে থাকা সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা, ষড়যন্ত্র, উসকানি ও ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়ের অভিযোগে বিচার হয়েছে। সুনির্দিষ্টভাবে পাঁচটি অভিযোগগুলো হলো: গণভবনের সংবাদ সম্মেলনে উসকানিমূলক বক্তব্য, হেলিকপ্টার ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ, রংপুরে ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা, চানখাঁরপুলে হত্যা এবং আশুলিয়ায় হত্যা ও লাশ পোড়ানো।

এগুলোর মধ্যে শেষ তিনটি অভিযোগে আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আর প্রথম দুই অভিযোগে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়া হয়।

রায় ঘোষণার আগে প্রসিকিউশন টিমের সদস্যরা সাংবাদিকদের জানান, রোববার রাত থেকে তাদের প্রত্যেককে হুমকি দেয়া হয়েছে এবং অকথ্য গালিগালাজ করা হয়।

তখন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছিলেন, অসংখ্য ফোন পেয়েছি। এক পর্যায়ে ফোন বন্ধ করে দিয়েছি। একই ভাষা, একই কথা। নেত্রীর সাজা হলে আমাদের জীবন শেষ করে দেবে।

এমকে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
৫ম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের প্রযুক্তি হাতে পেতে যাচ্ছে ভারত Nov 20, 2025
img
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যদের শুভেচ্ছা প্রধান উপদেষ্টার Nov 20, 2025
img
শততম টেস্টের সেঞ্চুরি দাদা-দাদি ও নানা-নানিকে উৎসর্গ করলেন মুশফিক Nov 20, 2025
img
ডাকসু নেত্রী রাফিয়ার বাড়িতে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ Nov 20, 2025
img
শুধু মতিঝিল নয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব বিভাগীয় অফিসে সঞ্চয়পত্র সহ ৫ সেবা বন্ধ Nov 20, 2025
img
বাউল শিল্পী আবুল সরকার গ্রেপ্তার Nov 20, 2025
img
বার্সেলোনা আমার ঘর, আমি আবার ফিরব: মেসি Nov 20, 2025
img
ভারতীয় পতাকা উড়িয়ে ক্ষমা চাইলেন পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী Nov 20, 2025
img
ভুটানের জন্য সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার কোনো দেশের আপত্তিতে আটকে নেই: আসাদ আলম সিয়াম Nov 20, 2025
img
বাংলাদেশে স্থগিত হওয়া ভারত সিরিজ হবে ২ বছর পর Nov 20, 2025
তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের রায়ে যা বললেন রিজভী Nov 20, 2025
তারেক রহমানের জন্মদিন উদযাপন না করা নিয়ে যা বললেন রিজভী Nov 20, 2025
জামায়াতের প্রার্থী তালিকায় বড় পরিবর্তন Nov 20, 2025
আ.লীগের কোনো নেতাকে নির্বাচনের মাঠে নামতে দেব না: রাশেদ খান Nov 20, 2025
শততম টেস্টের সেঞ্চুরি নিয়ে যা বললেন মুশফিকের বাবা Nov 20, 2025
img
জবিতে ছাত্রদলকে প্রাসঙ্গিক রাখতেই রাকিবকে ভিপি পদ দিয়েছে: নাজমুল হাসান Nov 20, 2025
img
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় জনগণের ভবিষ্যৎ ভালো হবে : মুফতি ফয়জুল করিম Nov 20, 2025
তামান্নার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বিজয়ের নতুন গুঞ্জন Nov 20, 2025
img
৪৭তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি বদলের দাবি শিবির সভাপতির Nov 20, 2025
img
অসাধু উদ্যোক্তা আর অভ্যন্তরীণ সমস্যাতেই পিছিয়ে স্টিল শিল্প: বাণিজ্য উপদেষ্টা Nov 20, 2025