বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার পর নির্বাচন না হওয়ার আর কোনো সংশয় নেই বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘২৫ ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন না হওয়ার আর কোনো সংশয়ের জায়গা নেই। যারা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, যারা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্র রক্ষা করতে চান, তাদের কাছে আগামী নির্বাচন অত্যন্ত মূল্যবান। এই নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।’
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা শেষে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমি যদি নির্বাচিত হই, তাহলে প্রথম অঙ্গীকার সুশাসন নিশ্চিত করা। সুশাসনের সঙ্গে সম্পৃক্ত যা কিছু আছে সেই পরিবেশ নিশ্চিত করা। শিক্ষা, নারীদের অধিকার, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ এবং মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এসব কিছুর জন্য কাজ করব। আইনের শাসন নিশ্চিত করা সর্বোপরি দেশের মানুষ যাতে আজীবন তার নিজের পছন্দমতো ভোট দিতে পারে, সেই পরিবেশ নিশ্চিত করাই আমার অঙ্গীকার।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন এরই মধ্যে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনের রায় রিভিউ করে বাংলাদেশের মানুষ যাতে তার ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারে, সেই পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য সংগ্রাম করেছিলাম। সেই সংগ্রামে আমি বিজয়ী হয়েছি। এখন প্রতি ৫ বছর পরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। সেই পরিবেশ আইনসংগতভাবেই নিশ্চিত করেছি।’
এর আগে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজুর রহমানের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন মো. আসাদুজ্জামান। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি ঝিনাইদহ-২ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, ঝিনাইদহ-৪ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী রাশেদ খান, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবু সাইদ, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী বিশ্বাস শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা আব্দুল বারী মোল্লা, সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন বাবর ফিরোজ, পৌর বিএনপির সভাপতি আবু তালেব মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পিএ/টিএ