প্রকৃতির রুদ্রমূর্তিতে চারদিক যেন সাদা চাদরে ঢাকা। বেলা গড়ালেও সূর্যের দেখা মিলছে না অনেক জায়গায়। হাড়কাঁপানো শীত আর ঘন কুয়াশার দাপটে স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও কোথাও ‘অকাল বৃষ্টি’ হতে পারে, আর এর প্রভাবেই বাড়বে শীতের তীব্র অনুভূতি।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পরবর্তী ১২০ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে ঘন কুয়াশার দাপট চলবে আগামীকাল দুপুর পর্যন্ত। কুয়াশার ঘনত্ব এতটাই বেশি হতে পারে যে, বিমান চলাচল, নৌ-পরিবহন ও সড়কে যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। হেডলাইট জ্বালিয়েও কয়েক হাত দূরের পথ দেখা দুষ্কর হয়ে পড়বে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
তাপমাত্রার পারদ ওঠানামার এই খেলায় দেশের কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। এই হালকা বৃষ্টি শীতের কামড়কে আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দিনভর সূর্যের আলো না পৌঁছানোয় হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হবে দেশের অধিকাংশ এলাকায়।
প্রচণ্ড শীতের অনুভূতি: যদিও আগামী দু-তিন দিনে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলা রোদের দেখা না মেলায় শীতের দাপট কমবে না।
ঢাকায় বাতাসের দাপট: রাজধানীতে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে শীতল বাতাস বয়ে আনছে হিমেল হাওয়া। সন্ধ্যার পর থেকে বাতাসের আর্দ্রতা ৮৫ শতাংশে পৌঁছানোয় কামড় দিয়ে ধরছে শীত।
ভবিষ্যৎ আভাস: পাঁচ দিনের এই মেয়াদের শেষের দিকে তাপমাত্রা আবার হু হু করে কমতে শুরু করবে, যা শৈত্যপ্রবাহের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের প্রভাবে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে শীতের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি থাকবে। কুয়াশা আর শীতের এই সাঁড়াশি অভিযানে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছেন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ।
এমকে/টিএ