ম্যাচে গোল হলো তিনটি। তবে সবচেয়ে বড় গর্জন শোনা গেল ৬৪তম মিনিটে। বদলি হিসেবে তখন মাঠে নামলেন আশরাফ হাকিমি। চোট কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর অধিনায়ককে মাঠে ফিরতে দেখে উত্তাল হয়ে উঠল গ্যালারি। সমর্থকদের ভালোবাসা পেয়ে তার মুখেও উঠল চওড়া হাসি। ম্যাচটি শেষ করলেন তিনি ভালোভাবেই। তার দল বড় জয়ে নিশ্চিত করল গ্রুপের শীর্ষস্থান।
আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সে জাম্বিয়াকে ৩-০ গোলে হারাল মরক্কো। তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকেই তারা শেষ ষোলোয় পৌঁছে গেল প্রত্যাশিতভাবে।
আগের দুই ম্যাচের পারফরম্যান্স অবশ্য প্রত্যাশিত ছিল না। একটি জয় ও আরেকটিতে ড্র করলেও ফেভারিটদের পারফরম্যান্সে ছিল না চেনা ধার। অবশেষে এই ম্যাচে তাদেরকে দেখা গেল আপন ছন্দে।
টুর্নামেন্টে মরক্কোর সেরা দুই ফুটবলার এই ম্যাচেরও দুই নায়ক। দুটি গোল করেন আইয়ুব এল কাবি, একটি ব্রাহিম দিয়াস। রাবাতে মঙ্গলবার ম্যাচের নবম মিনিটেই এল-কাবির হেড এগিয়ে দেয় দলকে। ২৭তম মিনিটে গোল করেন দিয়াস।
রিয়াল মাদ্রিদের তারকা এই নিয়ে আসরের তিন ম্যাচেই পেলেন গোলের স্বাদ। দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে দুর্দান্ত এক বাইসাইকেল কিকে গোল করেন এল কাবি। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে কমোরোসের বিপক্ষেও বাইসাইকেল শটে গোল করেছিলেন অলিম্পিয়াকোসের ৩২ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।
তিন গোল করে এল কাবি ও দিয়াস এখন যৌথভাবে টুর্নামেন্টের গোলের তালিকায় শীর্ষে। তাদের সঙ্গে আছেন আলজেরিয়ার রিয়াদ মাহরেজ।পারফরম্যান্সে ছন্দে ফেরার পাশাপাশি মরক্কোর জন্য স্বস্তি হাকিমির মাঠে ফেরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চোট পেয়ে বাইরে ছিটকে পড়ার প্রায় আট সপ্তাহ পর তিনি ফিরলেন। আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলারের এই আসরে খেলা নিয়ে সংশয় ছিল। তবে টুর্নামেন্ট চলার সময় সুস্থ হয়ে উঠবেন আশা করে তাকে দলে রাখা হয়েছিল। নকআউট পর্বের আগে তাকে ফিরে পাওয়া দলের জন্য বড় প্রেরণা।
ফেরার ম্যাচে গোলের সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন হাকিমি। ৮১তম মিনিটে তার শটে অল্পের জন্য গোল হয়নি গোলকিপার ফুল লেংথ ডাইভ দিয়ে কোনোরকমে আটকে দেওয়ায়।
শেষ ষোলোয় মরক্কোর প্রতিপক্ষ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তৃতীয় হওয়া সেরা চার দলের একটির সঙ্গে হবে তাদের লড়াই।
এমআর/টিএ