গাজায় মানবিক সহায়তা নেওয়ার পথে ড্রোন হামলার কবলে জাহাজ

ড্রোন হামলার কবলে মাল্টা উপকূলে ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখী একটি মানবিক সহায়তাবাহী জাহাজ বিকল হয়ে গেছে।

মানবিক সহায়তাকারী সংগঠন ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মাল্টা সময় রাত ১২টা ২৩ মিনিটে ‘দ্য কনসায়েন্স’ জাহাজটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় সরাসরি হামলার শিকার হয়।

হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সশস্ত্র ড্রোন নিরস্ত্র বেসামরিক জাহাজের সম্মুখভাগে দুইবার হামলা চালায়। যার ফলে অগ্নিকাণ্ড ঘটে এবং জাহাজে বড় ধরনের ফাটল তৈরি হয়।

শুক্রবার ভোরে জাহাজটির জেনারেটর লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন কর্মীরা। যার ফলে জাহাজটি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে এবং ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে। ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের প্রকাশিত সামাজিক মাধ্যমে ছবি অনুযায়ী, জাহাজে বড় আকারের অগ্নিকাণ্ড এবং দুটি বিস্ফোরণ দেখা গেছে।

ড্রোন হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করার মতো কোনো স্বাধীন প্রমাণ এখনো পায়নি দ্য গার্ডিয়ান।

তবে সাইপ্রাস কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ‘দ্য কনসায়েন্স’ জাহাজের ছবি প্রকাশ করেছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির প্রমাণ দেখা গেছে।

মাল্টার সরকার শুক্রবার জানিয়েছে, জাহাজে থাকা ১২ জন ক্রু এবং ৪ জন সাধারণ যাত্রী ‘নিরাপদ’ রয়েছেন। জাহাজের কাছাকাছি থাকা একটি বোট সাহায্যের জন্য সেখানে পাঠানো হয়েছে।

সংগঠনটি জানিয়েছে, ২১টি দেশের কর্মীরা জাহাজে ছিলেন এবং তাদের লক্ষ্য ছিল ‘ইসরায়েলের অবৈধ ও প্রাণঘাতী অবরোধ চ্যালেঞ্জ করা এবং জরুরি জীবনরক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছে দেওয়া।’

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতদের ডেকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য— যার মধ্যে রয়েছে চলমান অবরোধ ও আন্তর্জাতিক জলসীমায় আমাদের বেসামরিক জাহাজে বোমা হামলা— জবাবদিহি করতে হবে।’

ইসরায়েল এখনো এই অভিযোগ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি।

মেরিন ট্রাফিক ওয়েবসাইট অনুসারে, ‘দ্য কনসায়েন্স’ মঙ্গলবার তিউনিসিয়ার বিজার্তে বন্দর ত্যাগ করে। যে এলাকায় হামলা সংঘটিত হয়েছে সেখানে জাহাজটি বৃহস্পতিবার সকালে পৌছায়।

মাল্টা থেকে আরো কর্মী নিতে জাহাজটি মাল্টার দিকে যাচ্ছিল। যাদের মধ্যে জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন।

থুনবার্গ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, তিনি মাল্টায় ছিলেন এবং ওই জাহাজে ওঠার কথা ছিল।

মাল্টার সরকার ১৬ জনের কথা বললেও থুনবার্গ এবং ফ্লোটিলা কোয়ালিশন জানিয়েছে, জাহাজে ৩০ জন ছিলেন।

আরএম/টিএ



Share this news on: