সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমালোচনার নজরদারি ও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রথা বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ‘মহানগর’ খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ।
সাম্প্রতিক সময়ের কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরে এমন আহ্বান জানান তিনি।
রোববার (১৮ মে) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে আশফাক নিপুণ লিখেছেন, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একটা বক্তব্য নিয়ে সমালোচনা করে ফেসবুকে পোষ্ট দেওয়ার ৪ মাস পরে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে শিক্ষক মনিবুল হক বসুনিয়াকে।
অন্যদিকে সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে নিয়ে লেখা এক পোস্টে দু:খিত রিয়্যাক্ট দেওয়ায় শোকজ করা হয় একই মন্ত্রণালয়ের ৫ জন কর্মচারীকে। অবিশ্বাস্য!’
নিপুণ লিখেছেন, ‘আপনারা গণঅভ্যুত্থানের বিজয়ের ফলে প্রাপ্ত নাগরিক সরকার। প্রধান উপদেষ্টা প্রায়শই তার বক্তৃতায় বলেন, মন খুলে সরকারের সমালোচনা করতে। নাগরিকদের সমালোচনা করার জায়গা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে যদি শিক্ষক বরখাস্ত হন আর নির্দোষ রিয়্যাক্ট দিতে গিয়ে কর্মকর্তা শোকজ নোটিশ খান তাহলে দ্বিচারিতার এর চেয়ে বড় উদাহরণ আর হতে পারে না।’
ফেসবুকে সমালোচনা করার কারণে শাস্তি দেওয়া সংস্কারের কোন পর্যায়েই পড়ে না বলে মনে করেন এই নির্মাতা। তার কথায়, ‘ফেসবুকে সমালোচনা করার অপরাধে শাস্তি দেওয়া সংস্কারের কোন পর্যায়েই পড়ে না। বরং শেখ হাসিনার আমলে শুরু হওয়া এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখির কারণে শাস্তির সংস্কার হতে পারে সব ধরণের সমালোচনাকে আমলে নেওয়া, সহ্য করা, নাগরিকের ক্ষোভ, বেদনা বোঝা, তাকে নিরাপত্তা দেয়া এবং প্রয়োজনে আইন সংস্কার করা।’
সবশেষে আশফাক নিপুণ লিখেছেন, ‘অবিলম্বে শিক্ষক বসুনিয়ার চাকরি ফিরে দেন এবং যে সকল মন্ত্রণালয় থেকে এই ধরণের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেন। সরকারের সমালোচনা করা রাষ্ট্রের নাগরিকদের অধিকার, প্রাপ্ত কোন দয়া দাক্ষিণ্য না।’
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থী-সাধারণ জনতার গণঅভ্যুত্থনে শুরু থেকেই সরব ছিলেন নির্মাতা আশফাক নিপুন। নতুন সরকার গঠনের পর থেকেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দাবি-ভাবনার কথা ফেসবুকে তুলে ধরেছেন তিনি।
আরএম/এসএন