হিন্দি ছবির অন্যতম মার্জিত ও রুচিশীল নায়ক বলা হয় সুনীল দত্তকে। অন্যদিকে, সায়রা বানু ছিলেন ষাটের দশকের অন্যতম রূপসী অভিনেত্রী। ১৯৬৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই জুটির ‘পড়োশন’ ছবি, যা বক্স অফিসে তুমুল সাফল্য পায়। তারপর একের পর এক ছবির প্রস্তাব আসতে থাকে এই জুটির কাছে।তাঁরা জুটিও হন। কিন্তু প্রেমের দৃশ্যে সায়রার সঙ্গে অভিনয় করার আগে এক প্লেট করে পেঁয়াজ আনাতেন সুনীল।
সায়রা নিজেই জানিয়েছিলেন, দিলীপ কুমার ও সুনীল ছিলেন একে অপরের প্রাণের বন্ধু। তারা দুজনেই একসঙ্গে আড্ডা দিতেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
তবে মানুষ হিসেবে সুনীলের ছিল মারাত্মক রসবোধ। তেমনই নাকি মাথায় দুষ্টুবুদ্ধি খেলত সর্বক্ষণ।
‘পড়শোন’-এর পরে ১৯৭৬ সালে ‘নহলে পে দহেলা’ ছবিতে কাজ করেন সুনীল। সেই ছবি একেবারে গ্ল্যামারাস চরিত্রে সায়রা।পড়োশন-এর মতো হাসির ছবির পর এবার এই প্রেমের ছবিতে জুটি বাঁধলেন সুনীল-সায়রা। ছবিতে যখনই সায়রার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য থাকত, তার আগে পেঁয়াজ খেতেন সুনীল।
অভিনেত্রীর ভাষ্যে, উনি ভীষণ দুষ্টু, রসিক প্রকৃতির ছিলেন। খালি বলতেন, দেখুন কমেডি ছবিতে লোকে আমাদের নিচ্ছে। এবার আমাদের প্রেমের ছবি করা উচিত।
যখন ‘নহলে পে দহেলা’-তে জুটি বাঁধলাম, তখন প্রেমের দৃশ্যের আগে বলতেন, এক প্লেট করে পেঁয়াজ আনো। এবার আমরা প্রেম করব যে! আসলে এতটাই দুষ্টু ছিলেন, সারাক্ষণ এসব বুদ্ধি খেলত তাঁর মাথায়।
এমআর/টিএ