একসময় ঘনিষ্ঠ বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের সম্পর্ক এখন চরম তিক্ততায় রূপ নিয়েছে। ট্রাম্পের ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারে ইলনকে সম্ভাব্য মিত্র হিসেবে দেখা হলেও, মাস্কের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব এখন স্পষ্ট ও প্রকাশ্য।
সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ট্রাম্প নিজেই নিউ ইয়র্ক টাইমসকে ইলন মাস্কের মাদক ব্যবহারের তথ্য দিয়েছেন। এই তথ্য ফাঁসের বিষয়ে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ লেখক ও জীবনীকার মাইকেল উলফ বলেন, ‘ট্রাম্প একাধিকবার এই তথ্য নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং একটি সাক্ষাৎকারে জানান, আমরাই নিউ ইয়র্ক টাইমসকে ইলন যে ড্রাগস ব্যবহার করেন সে তথ্য দিয়েছিলাম।’
উল্লেখ্য, ১৮ মে, ২০২৪ তারিখে নিউ ইয়র্ক টাইমস মাস্কের বিরুদ্ধে একটি বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, ইলন মাস্ক নিয়মিত কেটামিন, সাইকেডেলিক মাশরুম ও অ্যাডেরল গ্রহণ করতেন। একটি সূত্র জানিয়েছে, তিনি সব সময় সঙ্গে একটি ‘ড্রাগ বক্স’ রাখতেন। এ ছাড়া ইলনের কিছু সহযোগী দাবি করেছেন যে এসব মাদকের প্রভাব টেসলা ও স্পেসএক্সের মতো প্রতিষ্ঠানে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
তবে ইলন মাস্ক এক্স (সাবেক টুইটার)-এ একটি ক্লিন ড্রাগ টেস্টের রিপোর্ট প্রকাশ করে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। সেখানে কোনো অবৈধ পদার্থের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
দুইজনের সম্পর্কে চিড় ধরার অন্যতম কারণ একটি সরকারিভাবে পাস হওয়া ব্যয় বিল। মাস্ক এই বিলকে ‘অপ্রয়োজনীয় খরচে ভরা’ বলে কড়া সমালোচনা করেন, যা ট্রাম্পকে বিরক্ত করে। এর পর থেকেই দুইজনের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
ট্রাম্প তার নিজস্ব প্ল্যাটফরম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ মাস্ককে সরাসরি আক্রমণ করে লিখেছেন, সে এখানকার কেউ নয়। এটি ইঙ্গিত করে মাস্কের দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূতের প্রতি। একসময় যার সাফল্যের প্রশংসা করতেন, এখন তার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগতভাবে কটূক্তি করছেন।
‘দ্য আমেরিকা পার্টি’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সম্ভাবনার কথা বলেছেন মাস্ক।
তার দাবি, যারা সরকারি ব্যয়ের বিষয়ে দায়িত্বশীল নয়, তাদের বিরুদ্ধে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে তিনি আর্থিক সহায়তা দেবেন। এই উদ্যোগ মার্কিন রাজনীতির প্রচলিত দলীয় কাঠামোকে বড় রকমের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া