স্বাস্থ্য খাতে ৪৫ বছরের বৈষম্যের অবসানসহ চার দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বরাবর স্মারকলিপি দিতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েছেন ডিপ্লোমা চিকিৎসকরা।
রোববার (৬ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের নেতাকর্মীরা যমুনা অভিমুখে রওনা হন। পরে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এতে স্মারকলিপি দেওয়ার কার্যক্রম আটকে যায়।
এসময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বাগবিতণ্ডা ও কথা কাটাকাটি হয়। পরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত না করতে নেতারা ঘোষণা দেন, সোমবার (৭ জুলাই) থেকে প্রতিদিন পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি পৌঁছে দেবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রেস ক্লাব থেকে বের হয়ে যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আন্দোলনকারীদের মিছিল থামিয়ে দেয়। তখন পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বাগবিতণ্ডা ও কথা কাটাকাটি হয়। উত্তেজনা বাড়লে নেতারা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে কর্মসূচি সাময়িক সমাপ্তি ঘোষণা করেন এবং স্মারকলিপি পৌঁছে দেওয়ার বিকল্প কর্মপন্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন।
এসময় ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ ভুঁইয়া বলেন, আমরা রাষ্ট্রের নিয়ম মেনে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য স্মারকলিপি দিতে চেয়েছিলাম।
কিন্তু পুলিশ আমাদের পথ আটকে দেয়। এটি আমাদের নাগরিক অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থি। আমরা সংঘাতে যেতে চাই না, তাই শান্তিপূর্ণভাবেই কর্মসূচি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছি।
তিনি আরও জানান, সোমবার (৭ জুলাই) থেকে প্রতিদিন পাঁচ জনের একটি প্রতিনিধি দল নির্ধারিত সময় অনুযায়ী প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে গিয়ে চার দফা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি হস্তান্তর করবে।
ডিপ্লোমা চিকিৎসকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে– পেশাগত স্বীকৃতির নিশ্চয়তা, হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়ন, ১০ম গ্রেডে পদোন্নতি, ৩২০০ পদে অবিলম্বে নিয়োগ এবং উচ্চশিক্ষার পথ উন্মুক্ত করা। তারা অভিযোগ করেন, চলমান স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের খসড়া প্রস্তাবে তাদের সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষা করা হয়েছে, যা এই পেশার অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলছে।
আন্দোলনকারীরা জানান, তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। তবে প্রয়োজন হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচির পথে যাবেন।
আরআর/টিএ