ফেনীর বন্যা নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণের কথা ভাবছে সরকার। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণে ৭ হাজার ৩৪০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীকে যুক্ত করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
শনিবার (১২ জুলাই) সকালে ফেনীর পুরাতন মুন্সীর হাট এলাকার একটি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, ফেনীর উত্তরের দীর্ঘদিনের বন্যা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রকল্পটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হলে দীর্ঘমেয়াদে ফেনীর মানুষ বন্যার ভয় থেকে রক্ষা পাবে।’
পরিদর্শনকালে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা দুর্গত মানুষজন ত্রাণ ও সহায়তার ঘাটতি নিয়ে উপদেষ্টার কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমানসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এদিকে, ফেনীর সামগ্রিক বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে থাকলেও ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপক। ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বহু এলাকায় পানি কমতে শুরু করলেও ছাগলনাইয়া, ফেনী সদর ও দাগনভূঞার নিচু এলাকা এখনো পানিতে প্লাবিত। প্রায় ৩০টি গ্রামের ৪০ হাজারের মতো মানুষ এখনও পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
জেলা প্রশাসনের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, বন্যায় ১ হাজারেরও বেশি মৎস্য ঘের ও পুকুর এবং ১ হাজার ৬৫৫ হেক্টর আমন বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাণিসম্পদ খাতে পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলায় ৬৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭৫০ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া সড়ক ও অন্যান্য অবকাঠামোরও ক্ষতি হয়েছে ব্যাপকভাবে।
এমআর/টিএ