পিএসজির দুর্দান্ত দল হয়ে উঠার পেছনে কারো একার কোনো কৃতিত্ব নেই। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ইতিহাস রচনা করছে প্যারিসের ক্লাবটি- এমন মন্তব্য করেছেন কোচ লুইস এনরিকে। ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল জেতা আরও একটা মাইলফলক হবে বলেও মনে করেন তিনি।
নেইমার, মেসি, এমবাপ্পে যুগে যা সম্ভব হয়নি, এনরিকে তাই করে দেখাচ্ছেন দেম্বেলে, ভিতিনহা, ফাবিয়ান রুইজদের নিয়ে। একটা সময় বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার সিটি কিংবা আর্সেনাল যেমন অপ্রতিরোধ্য ছিল, নতুন পিএসজির ওপর যেনো সেই শক্তিই ভর করেছে। প্যারিসের এই দলটা এই মুহূর্তে এক কথায় অপ্রতিরোধ্য।
গেল মৌসুমে এমবাপ্পে চলে যাওয়ার পর হায় হায় রব উঠে গিয়েছিল প্যারিসে। ভক্তরা ভেবেছিলেন বুঝি সব শেষ। কিন্তু তারা তখনও অনুধাবন করতে পারেনি তাদের আছেন একজন এনরিকে। যে ম্যাজিশিয়ান বদলে দিতে পারেন সব। মৌসুম ব্যবধানে সেই চিত্রটাই দেখলো ফুটবল বিশ্ব। ‘ফার্মার্স লিগের দল’ বলে টিপ্পনি কাটা নিন্দুকরাও এখন সেরা মানেন এনরিকের এই দলটাকে।
এই দল নিয়েই তিনি পিএসজির স্বপ্নের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন, সে যাত্রায় হারিয়েছেন বাঘা বাঘা দলকে। হারানো কী, ঠিক নাস্তানুবাদ করেছেন। ব্যাপারটা উপভোগও করছেন তিনি। স্প্যানিশ কোচ বলেন, ‘আমিই কখনওই তারকা ছিলাম না।
না ফুটবলার হিসেবে, না কোচ হিসেবে। ফুটবলার যখন ছিলাম তখন খেলা উপভোগ করেছি, এখন কোচিং উপভোগ করছি। যখন সব কিছুই ভালো চলে, তখন এমন ফলাফল আসে। আমি সমালোচনা পছন্দ করি। আমাকে ঘিরে যখন সমালোচনা বেশি হয় আমার মনে হয় ভালো করা আমার জন্য আরও সহজ হয়ে যায়।’
কোনো নির্দিস্ট সুপারস্টার নয়, খেলতে হবে একটা দল হয়ে। এনরিকের এই থিউরি যেন একেবারে হৃদয়ে গেথে নিয়েছেন দেম্বেলে, হোয়াও পেদ্রো, রুইজ, ভিতিনহারা। তাতেই বাজিমাত। এনরিকে বলেন, ‘আমি আবারো বলছি পিএসজির বর্তমান অবস্থান কারো একার কৃতিত্বের জন্য নয়। আমার ফুটবলাররা দুর্দান্ত ছিলেন। সেটা পুরো মৌসুমজুড়েই। আমার কাছে মনে হয়েছে তাদের সেই দক্ষতা ছিল বলেই এমন হয়েছে। আমরা প্যারিসে ইতিহাস রচনা করেছি। পুরো মৌসুম জুড়েই দুর্দান্ত খেলেছেন ফুটবলাররা।’
টিকে/