রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা, খুলনায় যুবদলের নেতাকে গুলি ও পায়ের রগ কেটে হত্যা ও চাঁদপুরে মসজিদের ইমামকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা রাজনৈতিক পরিবেশে সহিংসতার ভয়াবহ রূপকে তুলে ধরেছে।
গত কয়েক দিন ধরে রাজধানী ঢাকাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়ে শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজধানীর মিটফোর্ডে চাঁদা না দেওয়ায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর দিয়ে মাথা থেতলিয়ে হত্যা করেছে যুবদলের মঈন ও তার সহযোগীরা।
এটি আবারো প্রমাণ করে রাজনৈতিক পরিচয়ের আড়ালে অপরাধীরা কীভাবে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। খুলনায় যুবদল নেতা মাহবুবকে গুলি করে ও পায়ের রগ কেটে হত্যার ঘটনা আমাদের রাজনৈতিক পরিবেশে সহিংসতার ভয়াবহ রূপকে তুলে ধরেছে।
তারা আরো বলেন, চাঁদপুরে জুমার নামাজের পর মসজিদের ইমাম মাওলানা নূরুর রহমানকে ‘ধর্ম অবমাননার’ অভিযোগে একই নামাজে অংশগ্রহণকারী এক ব্যক্তি কর্তৃক কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ধর্মীয় উন্মাদনা ও উগ্র মনোবৃত্তির বিপজ্জনক রূপ। এই তিনটি ঘটনাই দেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকটের চিত্র তুলে ধরেছে।
এতে বোঝা যায় সহিংসতা, বিচারহীনতা ও উগ্রতা আমাদের সমাজকে কতটা গ্রাস করেছে।
বিবৃতিতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে উদ্যোগী ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে। জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কার্যকর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সন্ত্রাস ও অপরাধের জায়গা তৈরি হওয়া বন্ধ করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ন্যায়বিচার ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে এই ধরনের বর্বরতা বন্ধ হবে না। বিবৃতিতে সহিংসতার বিরুদ্ধে এবং জানমালের নিরাপত্তায় দেশের সচেতন মানুষকে রাস্তায় নেমে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।
এমকে/টিএ