ভারতের আহমেদাবাদে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনার এক মাসের মাথায় প্রকাশিত হয়েছে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন। ভারতের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো জানায়, জ্বালানি সরবরাহের সুইচ বন্ধ হয়ে যাওয়াকেই দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। উড্ডয়নের ৩২ সেকেন্ডের মধ্যেই বিমানটি ভেঙে পড়ে এবং প্রাণ হারান ২৪২ জন যাত্রী ও পাইলটসহ অন্তত ৩০ জন। সম্প্রতি ককপিট রেকর্ডিং ও ফ্লাইট ডেটা বিশ্লেষণ করে উঠে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
সম্প্রতি প্রকাশিত ১৫ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, উড্ডয়নের কিছু সেকেন্ড পরই উড়োজাহাজটির দুটি ইঞ্জিনের ফুয়েল সুইচ ‘রান’ থেকে ‘কাটঅফ’ হয়ে যায়, ফলে জ্বালানি সরবরাহ থেমে যায় এবং থ্রাস্ট বন্ধ হয়ে পড়ে। ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে শোনা যায়, পাইলটরা বিভ্রান্ত ছিলেন এবং একজন অপরজনকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কেন বন্ধ করলেন?’ উত্তরে অপরজন বলেন, ‘আমি কিছু বন্ধ করিনি’।
কিছুক্ষণ পর ফুয়েল সুইচ আবার চালু করতে চেষ্টা করা হয়, তবে ততক্ষণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে উড়োজাহাজটি। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, র্যা ম এয়ার টারবাইন চালু হয়েছে, যা নির্দেশ করে দুই ইঞ্জিন ব্যর্থ হয়েছিল। মেডিকেল ছাত্রাবাসে আছড়ে পড়া এই বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে যান মাত্র একজন যাত্রী।
প্রতিবেদনে ১৯৮০’র দশকের একটি অনুরূপ ঘটনা উল্লেখ করে সতর্ক করে বলা হয়, ১৯৮০ এর দশকে ডেল্টা এয়ারলাইন্সের এক পাইলট ভুলবশত বোয়িং ৭৬৭ উড়োজাহাজের জ্বালানি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তবে সেই যাত্রায় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছিল, কারণ উড়োজাহাজটি বেশি উচ্চতায় থাকায় তিনি ফের ইঞ্জিন চালু করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
টিকে/