কলম বিরতির পর কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারিদের শাটডাউনে শুল্কায়ন কার্যক্রম ও পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার জট তৈরি হয়েছে। সেই ঘাটতি পোষাতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস খোলা রাখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে তার পুরোপুরি সুফল মিলছে না।
আন্তঃবাণিজ্যের তথ্য ও শুল্কের হিসাব রাখার মাধ্যম ‘অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সফটওয়্যারে’ সমস্যার কারণে অনলাইনে বিল অব এন্ট্রি দাখিল ও শুল্কায়ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
সেবা গ্রহীতারা জানান, গত ছয় সাতমাস ধরে সার্ভারে সমস্যা চলছে। বিষয়টি নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। প্রতিনিয়ত আমদানিকারকে জরিমানা গুনতে হচ্ছে।
ব্যাংক, শিপিং এজেন্টসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অফিস বন্ধ রেখে ছুটির দিনে শুধুমাত্র কাস্টম হাউস খোলা রেখে লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন অংশীদাররা।
তারা বলেন, কাস্টমস হাউসে খোলা থাকলেও ব্যাংক, শিপিং লাইন বন্ধ থাকছে। এগুলো একটির সাথে অপরটি যুক্ত। ফলে শুধুমাত্র কাস্টমস হাউজ খোলা রাখার কোনও যৌক্তিকতা নেই। ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।
এদিকে, ধর্মঘটের পর সার্ভার জটিলতাসহ একের পর এক সমস্যায় আমদানি-রফতানি পণ্য চালান বন্দরে আটকা পড়ে আছে। এতে ব্যবসায়ীদের জরিমানা গুনতে হচ্ছে।
সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এসএম সাইফুল আলম বলেন, এই পরিস্থিতিতে আমদানি ও রফতানিকারকের কাছে বন্দরের চার্জ যাতে আরোপ না করা হয়। সরকারের কাছে আমরা এ দাবি জানাচ্ছি।
আরআর/টিকে