‘স্বৈরাচারীব্যবস্থা থেকে আমাদের মুক্ত হতে হলে কতগুলো পদ্ধতি, প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তন আনতে হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে কতগুলো মৌলিক সংস্কার করতে হবে।’
শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে দিনাজপুর সদর উপজেলার ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে নাগরিক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে বিতাড়িত হলেও স্বৈরাচারীব্যবস্থা এখনো রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করে বদিউল আলম বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কোন কোন ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা আবশ্যক, স্বৈরাচার আবার যাতে ফেরত না আসে, সেটা নিশ্চিত করতে সেই ধরনের একগুচ্ছ প্রস্তাব উপস্থাপন করেছি। আমরা এটাকে বলছি খসড়া জাতীয় সনদ। আমরা মনে করি নির্বাচনীব্যবস্থায়, সংবিধানে, স্থানীয় সরকারব্যবস্থা, শাসনব্যবস্থায় সংস্কার দরকার। জনগণের এই মতামত ও সুপারিশগুলো যেন বাস্তবায়িত হয়।’
সচেতন, সংগতি ও সোচ্চার জনগোষ্ঠীই গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ জাতীয় সনদ ও নাগরিক প্রত্যাশা শীর্ষ নাগরিক সংলাপের আয়োজন করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সনাক)।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম বলেন, ‘আমাদের ওপর স্বৈরাচারীব্যবস্থা আবারও যেন জেঁকে না বসে, স্বৈরাচারী সরকার যেন আবার ফিরে না আসে, সে জন্য সরকার ১১টি সংস্কার কমিটি করেছে। এর মধ্যে ছয়টি সংস্কার কমিটির প্রধানদের নিয়ে ঐকমত্য কমিশন গঠন করেছে। আমরা এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছি।
আশা করি, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে কতগুলো বিষয়ে ঐকমত্য সৃষ্টি হবে, যার পরিপ্রেক্ষিতে একটি জাতীয় সনদ তৈরি হবে। আমাদের আশা, এই মাসের মধ্যেই জাতীয় সনদ প্রণীত ও স্বাক্ষরিত হবে।’
সনাক দিনাজপুর জেলার সভাপতি বেলাল উদ্দীন শিকদার রুবেলের সভাপতিত্বে সংলাপে কেন্দ্রীয়, রংপুর বিভাগ, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন। এতে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার শতাধিক সাংবাদিক, সমাজকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।
আরআর/টিকে