সিনেমা মুক্তির আগে ট্রেলার বা টিজার- এ যেন এক অপরিহার্য রীতি। কিন্তু সেই প্রথাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আসছে ‘কুলি’। বহুতারকা আর উচ্চ বাজেটের এই ছবি নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা তুঙ্গে, অথচ দর্শক দেখেননি একটি টিজারও। শুনতে অবাক লাগলেও, এটা পরিকল্পনারই অংশ। এই সিনেমার প্রচারের মুখ হয়ে উঠেছেন স্বয়ং রজনীকান্ত। তার ক্যারিশমাতেই বাজি রেখেছে নির্মাতারা।
চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাচ্ছে ১৪ আগস্ট। রাজিনীকান্তের পাশাপাশি এতে আছেন দক্ষিণের দুই কিংবদন্তি নাগার্জুনা ও উপেন্দ্র, সঙ্গে বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান। এই চার তারকাকে একসঙ্গে পর্দায় দেখার সুযোগই যেন হয়ে উঠেছে মূল আকর্ষণ। তামিলনাড়ু জুড়ে ছবিটি নিয়ে যে হাইপ তৈরি হয়েছে, তা অনেকেই কাবালির সময়কার ঘটনার সঙ্গেই তুলনা করছেন। তখনও রজনীকান্তের ক্যারিশমা ছিল প্রচারের মূল ভরসা।
ছবির ডিস্ট্রিবিউটরদের আশা, প্রথম দিনেই বক্স অফিসে রেকর্ড গড়বে ‘কুলি’। যদিও একই সপ্তাহে মুক্তি পাচ্ছে হৃতিক রোশন ও এনটিআর জুনিয়রের বহুল আলোচিত 'ওয়ার টু', কিন্তু বিশেষ করে তামিলনাড়ু অঞ্চলে 'কুলি'র হাওয়া যেন আলাদা।
এই হাইপ বজায় রাখতেই পরিকল্পনা করা হয়েছে দু’টি বড়সড় প্রি-রিলিজ ইভেন্ট। জুলাইয়ের শেষে চেন্নাইয়ের নেহরু স্টেডিয়ামে এক বিশাল অনুষ্ঠান হবে, এরপর ৭ আগস্ট হায়দরাবাদে আরেকটি জমকালো আয়োজন। এখান থেকেই প্রকাশ পাবে ছবির সুর ও আবহ। যদিও এখনো নিশ্চিত নয়- এখানে টিজার প্রকাশিত হবে কিনা।
এই কৌশলের অংশ হিসেবে আগামী ১১ জুলাই মুক্তি পাচ্ছে সিনেমার দ্বিতীয় গান ‘মনিকা’। এতে থাকছেন পূজা হেগড়ে। গানটির সুর, বর্ণনা ও পরিবেশনাই হয়তো প্রথমবারের মতো ছবির স্বাদ এনে দেবে দর্শকদের সামনে।
টিজার বা ট্রেলারের মতো প্রচলিত কনটেন্ট ছাড়াই ‘কুলি’ যদি সফল হয়, তবে সিনেমা প্রচারের সংজ্ঞা বদলে যেতে বাধ্য। রাজিনীকান্তের ক্যারিশমা এখন শুধু চরিত্রে নয়, সিনেমা বাজারজাতকরণেও হয়ে উঠেছে প্রধান চালিকাশক্তি।
এই বিপ্লবী প্রচারকৌশলের ফলাফল কেমন হয়, তা দেখতে অপেক্ষা ১৪ আগস্ট পর্যন্ত। তবে এখনই বলা যায়- ‘কুলি’ যেন সিনেমা নয়, রজনীকান্ত নামক এক প্রবল প্রতাপের উদ্যাপন।
কেএন/টিকে