জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। জুলাই বিপ্লবে সরকার পতন আন্দোলনে ব্যাপক সরব ছিলেন অভিনেত্রী। ছাত্র জনতার পক্ষে রাস্তায় নেমেছিলেন। তবে পট পরিবর্তনের পর অনেকটা নীরব ছিলেন অভিনেত্রী।
পাওয়া যায়নি তেমন খোঁজ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আড়াল ভেঙেছেন আবারও সরব হয়েছেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে ভক্তদের সংস্পর্শে থাকছেন নিয়মিত। বিভিন্ন ইস্যুতে মতামত জানাচ্ছেন।
গতকাল নিজের একটি ছবি শেয়ার করেছেন বাঁধন। নো মেকআপ লুকের ছবিটি শেয়ার করে বাঁধন দীর্ঘ এক ক্যাপশনও দিয়েছেন, যেখানে অভিনেত্রী লিখেছেন। তিনি অনেক ট্রমা বহণ করে যাচ্ছেন। তবে তাকে ভাঙতে চাইলে তিনি আরও শক্ত হয়ে যান।
বাঁধন লিখেছেন, আমি স্বাভাবিকভাবেই একজন আবেগপ্রবণ মানুষ। জীবনে অনেক কিছু অর্জন করেছি তার জন্য আমি সব সময় আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু জীবনে যে জিনিসটি সবচেয়ে বড় অর্জন করেছি, তা কোনো খ্যাতি বা সাফল্য নয়, বরং নিজের মতো করে বাঁচার এবং সৎভাবে নিজের কথা বলার ক্ষমতা। সেটাই আমার আসল সম্পদ।
বাঁধন লিখেছেন, জীবনে এমন অনেক সময় এসেছে, যখন আমাকে এমন সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, যা আমাকে আরও ক্ষমতা, সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা, স্থিতিশীলতা দিতে পারত।
কিন্তু আমি বেছে নিয়েছিলাম স্বাধীনতাকে। আর একবার আপনি যখন সত্যিকারের স্বাধীনতার স্বাদ নেন, যেটা লোকে বলে সেই ধরনের নয় বরং যেটা আপনি নিজের ভেতরে অনুভব করেন, সেই স্বাধীনতা। তখন আর ফেরা সম্ভব হয় না। যেমন একটি কথায় বলা হয়েছে- “যারা স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত ছিল, তারা যখন এর সামান্য স্বাদ পায়, তখন তারা পুরো স্বাধীনতাটাই চায়।” আর আমিও সেটা পুরোপুরি চাই।
অভিনেত্রীর কথায়, হয়তো এ কারণেই কিছু মানুষ আমাকে ঘৃণা করে। হয়তো তাদের আসল অস্বস্তি আমার কথায় বা কাজে নয়, বরং এ ব্যাপারে যে, আমি কাউকে আমাকে নিয়ন্ত্রণ করতে দিই না।
বাঁধন আরো জানান, এ পথ সহজ ছিল না। বরং এর বিপরীত। কিন্তু এই সমস্ত বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে আমার ভেতরে একটা জিনিস তৈরি হয়েছে: কেউ আমাকে ভাঙতে চাইলে, আমি আরও শক্ত হয়ে যাই- কংক্রিটের মতো। এটা শক্তি নাকি ত্রুটি, জানি না, তবে জীবন আমাকে এটাই শিখিয়েছে।
পোস্টের সবশেষ অভিনেত্রী লিখেছেন, আমি অনেক ট্রমা বয়ে বেড়াই। আমি জানি পিটিএসডি কাকে বলে। ছোট্ট কোনো কিছুই মাঝে মাঝে সেটা ট্রিগার করে দেয়। এটাও আমারই অংশ। এমন এক অবাঞ্ছিত সঙ্গী, যাকে আমি চাইনি, কিন্তু যার সঙ্গে বাঁচতে শিখেছি।
কেএন/টিকে