বৃদ্ধের প্রতি ‘অসৌজন্যমূলক’ আচরণে তোপের মুখে কঙ্গনা

রাজনীতি যে তাঁর প্রথম পছন্দ নয়, আগেই জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী ও সাংসদ কঙ্গনা রনৌত। এবার আরও স্পষ্টভাবে নিজের বিরক্তি প্রকাশ করলেন তিনি। নালা পরিষ্কার, রাস্তা মেরামতের মতো ‘ছোটখাটো’ সমস্যা নিয়ে বারবার তাঁর কাছে সাধারণ মানুষের আবেদন—তা আর ভালো লাগছে না কঙ্গনার। বলছেন, এমন পরিশ্রমের জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না।

একটি ভিডিও সামনে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে—এক ৮০ বছরের বৃদ্ধ কঙ্গনার কাছে বসে নিজের সমস্যার কথা জানাচ্ছেন। কিন্তু কঙ্গনা সেখানেই বলে ওঠেন, “আপনার এই সমস্যাগুলো মুখ্যমন্ত্রীর দেখার কথা। তাঁর কাছে আবেদন করুন।” কঙ্গনার মুখভঙ্গি, কণ্ঠস্বর আর বক্তব্য—সবই এখন নেটপাড়ায় চর্চার কেন্দ্রে।

অনেকেই বলছেন, মানুষের প্রতি এমন ব্যবহার এক সাংসদের পক্ষে একেবারেই মানানসই নয়। কেউ কেউ মনে করছেন, কঙ্গনা বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি রাজনীতির মাঠ থেকে সরে আসতে চান।

গত বছর হিমাচলপ্রদেশের মান্ডি থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে লোকসভায় যান কঙ্গনা। তখনই অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন, একজন সিনেমার তারকা রাজনীতির দায়িত্ব কতটা নিতে পারবেন?

কঙ্গনার সাম্প্রতিক মন্তব্যে সেই প্রশ্নই যেন আবার ফিরে এল। তিনি বলেন, “আমি ভেবেছিলাম সাংসদের দায়িত্ব মানে বছরে ৬০-৭০ দিন সংসদে থাকা, বাকিটা নিজের কাজ করা যাবে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, পঞ্চায়েত নেতাদের অবস্থাও আমাদের চেয়ে ভালো।”

এই বক্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে পদ্ম শিবিরও। দলের অনেকেই প্রকাশ্যে কিছু না বললেও, ভেতরে ভেতরে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

নেটপাড়ায় অনেকে কটাক্ষ করে লিখছেন—“নায়িকা হয়েই ভাল ছিলেন, নেতা হতেই মানায় না।” কেউ আবার লিখছেন—“জনগণ ভোট দিয়ে প্রতিনিধি বানিয়েছে, আর আপনি বলছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যান?”

রাজনীতিতে পা রাখার পর থেকে কঙ্গনা বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন। কিন্তু এবার তিনি যেন নিজের হতাশা ও ক্লান্তির কথাও স্পষ্ট করে দিচ্ছেন।

ভোটে জয় পাওয়ার পর রাজনৈতিক দায়িত্ব যেমন আসে, তেমনই আসে মানুষের প্রত্যাশা। আর সেই প্রত্যাশা পূরণ না হলে মানুষ প্রশ্ন করবেই। কঙ্গনা সেই প্রশ্নের মুখোমুখি, কিন্তু উত্তর কি আছে তাঁর কাছে?

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
১৪ জুলাই স্মরণে ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে ফের উত্তাল ঢাবি Jul 15, 2025
img
টাকার বিপরীতে কমল ডলারের দাম Jul 15, 2025
img
বরগুনায় এনসিপির পথসভা, মঞ্চে সারজিসকে দেখে ‘দুলাভাই দুলাভাই’ স্লোগানে মুখর ছাত্র-জনতা Jul 15, 2025
img
'একজন প্লেয়ার হিসেবে সাকিবের বিকল্প নেই' Jul 14, 2025
img
নিজেরা মেঝেতে বসে শহীদদের মা-বাবাকে চেয়ারে বসালেন উপদেষ্টারা! Jul 14, 2025
img
ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, আটক ২ Jul 14, 2025
img
জার্মান পার্লামেন্টে রংধনু পতাকা উত্তোলন নিষিদ্ধ Jul 14, 2025
img
৫০ ডিগ্রির ভয়াবহ গরমে কাঁপছে আমিরাত Jul 14, 2025
img
উচ্চকক্ষকে দুর্বল করার অপচেষ্টা চলছে: আখতার হোসেন Jul 14, 2025
img
সাগরে নিম্নচাপ: সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত Jul 14, 2025
img
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্ব সম্প্রদায়েরও বড় দায় আছে : কক্সবাজারে দুই উপদেষ্টা Jul 14, 2025
img
সিআইডি সেজে প্রবাসীর স্বর্ণালংকার লুট, মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণ Jul 14, 2025
img
সালাউদ্দিনকে সরানোর কোনো ভাবনা নেই বিসিবির Jul 14, 2025
img
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে তারা গণতন্ত্রের শত্রু দাবী ফখরুলের Jul 14, 2025
সাকিব অ্যাভেইলেবল ক্রিকেটার, তার সঙ্গে কথা বলা হবে; বিসিবি সভাপতি বুলবুল Jul 14, 2025
img
মিটফোর্ডের ঘটনা নিয়ে ১০টি পরিকল্পিত অপপ্রচার ও তথ্যভিত্তিক বাস্তবতা: তারেক রহমানের উপদেষ্টার স্ট্যাটাস Jul 14, 2025
img
১০ বছরে লিটন নিজের সামর্থ্যের অর্ধেকও দেখাতে পারেনি, দাবি পাইলটের Jul 14, 2025
img
জগন্নাথে প্রার্থনা শেষে প্রদীপ জ্বালিয়ে আরাধনায় মগ্ন শুভশ্রী-ইশা Jul 14, 2025
img
জনতার বাধার মুখে বিরিয়ানি হাউস উদ্বোধন না করেই ফিরে গেলেন প্রিন্স মামুন Jul 14, 2025
img
পোষ্যের অসুস্থতায় ভেঙে পড়েছেন অনামিকা, ভিডিওতে উঠে এল অভিযোগ Jul 14, 2025