বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বিশেষ কারিগরি কমিটি ইসির

সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বিশেষায়িত কারিগরি কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিটি আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।

বুধবার (১৬ জুলাই) ইসির উপসচিব মো. শাহ আলম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়।

ইসির সিস্টেমস ম্যানেজার মো. রফিকুল হককে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ভূগোলবিদ মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মানচিত্রকর কে এইচ রাজিমুল করিম, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোশিউর রহমান রিমু, নগর পরিকল্পনাবিদ ড. ফারহানা আহমেদ, পরিসংখ্যানবিদ হিফজুর রহমান এবং নির্বাচন সহায়তা-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. দেলোয়ার হোসেন। প্রয়োজনে কমিটি অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কো-অপ্ট করতে পারবে।

ক) ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত প্রস্তাব/প্রতিবেদন প্রণয়ন।

খ) কমিটি আগামী ০৭ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্তে নির্বাচন কমিশনে মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির নিকট দাখিল করবেন।
এ পর্যন্ত ৭৯টি আসনের সীমানা নির্ধারণে ছয় শতাধিক আবেদন ইসিতে জমা পড়েছে। শিগগিরই এগুলো যাচাই বাছাই করে খসড়া প্রকাশ করবে ইসি।

এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ এবং অপরাপর সুপারিশের আলোকেও আমরা দেখেছি যে আরেকটু বোধহয় টেকনিক্যাল কমিটি দ্বারা এটাকে বাছাই করার সুযোগ আছে। সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের মধ্যে ছিল যে বড় জেলাগুলোতে ১০ পারসেন্ট ভোটারের ভেরিয়েশন রাখা, প্লাস-মাইনাস ১০ শতাংশ ভোটার। কিন্তু বাস্তবতাতে দেখা যাচ্ছে, যেটা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হচ্ছে না। এভাবে এডজাস্ট করতে হলে সবগুলো আসনকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে সাজাতে হবে। এটার আরেকটা দিকে আছে। ২২১ টি আসনের সীমানা পরিবর্তনে কোনো ধরনের আবেদন হয়নি। তদুপরি যেখানে যেখানে অনেক বেশি ভেরিয়েশন আছে এটাতে আরেকটু কিছু করা যায় কিনা সেটার জন্য আমরা দেখতে বলেছি।

তিনি বলেন, ভৌগোলিক অবস্থা এবং অবস্থান, প্রশাসনিক সুবিধা, যাতায়াত ব্যবস্থা, পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার আছে সেটাকে এড করে তারপর সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে হবে।

 
পিএ/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বৃষ্টি বাঁচাল রংপুরকে? ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর পরিত্যক্ত ম্যাচ Jul 18, 2025
img
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে আম উপহার Jul 18, 2025
img
গোপালগঞ্জের সহিংসতা নিয়ে মুখ খুলল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় Jul 18, 2025
img
হংকং ম্যাচের আগে নেপালের মুখোমুখি বাংলাদেশ Jul 18, 2025
img
ডিসি অফিসের দুর্নীতি মামলা: নজরুলসহ ৭ জনের বিচার শুরু Jul 18, 2025
img
মতিঝিলে সেনা কল্যাণ ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে Jul 18, 2025
img
মতিঝিল সেনা কল্যাণ ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫ ইউনিট Jul 18, 2025
img
একই দিনে একই আদালতে, একই শাস্তি পেলেন হ্যারি পটারের দুই তারকা Jul 18, 2025
img
লামার বন্ধ থাকা রিসোর্ট ও পর্যটন স্পট খুলে দিল প্রশাসন Jul 17, 2025
img
গোপালগঞ্জের ঘটনায় লাভবান হলো কে- প্রশ্ন মাসুদ কামালের Jul 17, 2025
img
ছাত্রদল একটি অপ্রতিরোধ্য শক্তি: আমানউল্লাহ আমান Jul 17, 2025
img
হিন্দি-মারাঠি বিতর্কে যা বললেন অভিনেত্রী রেণুকা Jul 17, 2025
img
রাজনীতিতে এনসিপিকে আরও অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের পরামর্শ সালাহউদ্দিনের Jul 17, 2025
img
মন্দিরা বেদীর সঙ্গে একমঞ্চে জয়া আহসান Jul 17, 2025
img
আমাদের টার্গেট হচ্ছে এক কোটি সমর্থক বাড়ানো : রিজভী Jul 17, 2025
img
এনসিপির অপরিকল্পিত কর্মসূচির কারনেই ফ্যাসিবাদী শক্তি হামলা করছে : সালাহউদ্দিন Jul 17, 2025
img
মুজিববাদ ও মুক্তিযুদ্ধ কিন্তু এক জিনিস না: নাহিদ Jul 17, 2025
img
গোপালগঞ্জে হামলা, চট্টগ্রামে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল Jul 17, 2025
img
শুক্রবার বাংলাদেশে আসছেন স্টারলিংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ার Jul 17, 2025
img
জুলাই সনদ তৈরির প্রক্রিয়া হতে হবে স্বচ্ছ ও দৃশ্যমান : প্রধান উপদেষ্টা Jul 17, 2025