মঞ্চ প্রায় প্রস্তুত ছিল। এজবাস্টনে গতকাল পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্সের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল ভারত চ্যাম্পিয়ন্সের। কিন্তু বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডসের (ডব্লিউসিএল) এ ম্যাচটির আগে ভারতের কয়েকজন খেলোয়াড় বেঁকে বসেন। তাতে ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত বাতিলই হয়ে যায়।
প্রথম বেঁকে বসেছিলেন শিখর ধাওয়ান। পহেলগাম হত্যাকাণ্ড ও তার পরবর্তী ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কথা বিবেচনা করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডসে (ডব্লিউসিএল) শহিদ আফ্রিদিদের বিপক্ষে খেলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। এরপর একে একে হরভজন সিং, ইরফান পাঠান ও ইউসুফ পাঠানও পাকিস্তান ম্যাচ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন।
ধাওয়ান যে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে চান না, সেটা ডব্লিউসিএল কর্তৃপক্ষকে মে মাসেই জানিয়েছিলেন। সেই সিদ্ধান্তে অবিচল থেকে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লেখেন, ‘১১ মে নেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতি আমি এখনও অটল। দেশই আমার কাছে সবকিছু, দেশের চেয়ে বড় কিছু নয়।’
ধাওয়ানের পর হরভজন ও পাঠান ভাইয়েরা নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার পর ডব্লিউসিএল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতি দিয়ে ম্যাচ বাতিল হওয়ার বিষয়টি জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ডব্লিউসিএলে আমরা ক্রিকেটকে ভালোবাসি, লালন করি। আমাদের লক্ষ্য ছিল সমর্থকদের কিছু ভালো, সুখকর মুহূর্ত দেওয়া। শুনেছি এই বছর পাকিস্তান হকি দল ভারতে যাবে। দুই দেশের ভলিবল ম্যাচও দেখেছি। তাই ভেবেছিলাম ডব্লিউসিএলেও দুই দেশের ম্যাচটা হোক। সমর্থকদের অনুভূতিতে আঘাত করার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।’
অন্যদিকে পাকিস্তান খেলার জন্য প্রস্তুত ছিল। ম্যাচ বাতিল হয়ে যাওয়ায় ভারতের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলপতি শহীদ আফ্রিদি। গতকালই গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে ক্রিকেট খেলতে এসেছি। তারা (ভারত) যদি খেলতে না-ই চায়, তবে এখানে আসার আগে বলতে পারত। এখন আমরা চলে এসেছি, অনুশীলনও করেছি। তারপর আপনি হঠাৎ করে সব বদলে ফেললেন (না খেলার সিদ্ধান্ত)।’
রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনে আইসিসি ইভেন্ট ব্যতিত ভারত ও পাকিস্তানের খেলার ব্যাপারটি স্তিমিত হয়ে আছে দীর্ঘ দিন ধরে। আফ্রিদির পরামর্শ এই রাজনীতি থেকে ক্রিকেটকে দূরে রাখার। তিনি যোগ করেন, ‘আমি সব সময় বলে এসেছি, ক্রিকেট থেকে রাজনীতি দূরে রাখুন। এটার এগিয়ে যাওয়া উচিত। একজন প্লেয়ারের উচিত দেশের ভালো দূত হওয়া, অস্বস্তির উৎস নয়।’
এমআর/টিকে