উপসর্গ ছাড়াই বিপদে পড়েছিলেন হৃতিকের বাবা

যখন সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল, তখনই আচমকা বিপর্যয়। ৭৫ বছর বয়সেও রোজ নিয়ম করে শরীরচর্চা করেন রাকেশ রোশন। সাত ধরনের ব্যায়াম তাঁর রোজকার রুটিনের অংশ। কিন্তু সুস্থ জীবনযাপন সত্ত্বেও গত ১৬ জুলাই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। সেই মুহূর্তের আতঙ্ক, উদ্বেগ আর একটা সময়ের পর স্বস্তি—সব কিছু মিলিয়ে যেন এক জীবনযুদ্ধের গল্প হয়ে উঠেছে তাঁর সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা।

মেয়ে সুনয়না প্রথম জানান, বাবার ঘাড়ে অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি হয়েছে। প্রথমে তাঁকে আইসিইউতে রাখা হলেও পরে অবস্থার উন্নতি হওয়ায় সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। বাবাকে দেখতে ছুটে যান হৃতিক রোশনও। কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল রাকেশের?

নিজেই জানালেন সেই ভয়াবহ মুহূর্তের কথা। ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে রাকেশ লিখেছেন, “কোনও উপসর্গ ছিল না। আচমকাই জানতে পারি আমার ক্যারোটিড ধমনী দু’টিতে ঠিকমতো রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে না, মস্তিষ্কের প্রায় ৭৫ শতাংশের বেশি অংশে ব্লকেজ। এটি উপেক্ষা করা হলে বিপদ হতে পারে।” তিনি আরও লেখেন, “আমি বুঝতে পেরেই সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি এবং প্রতিরোধমূলক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছি।”

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রাকেশকে ঠিক সময়ে হাসপাতালে না নেওয়া হলে পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারত। তবে এখন তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ইনস্টাগ্রামে তিনি আশ্বস্ত করেন অনুরাগীদের, “খুব শীঘ্রই আমার ওয়ার্কআউটে ফিরে আসতে পারব আশা করছি।” পাশাপাশি বয়স পেরোনো সকলকে দিয়েছেন এক গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য পরামর্শ—৪৫-৫০ বছর বয়সের পর প্রত্যেকেরই একটি হার্ট সিটি ও ক্যারোটিড ব্রেন আর্টারি সোনোগ্রাফি করা উচিত।

একটা সময় ক্যানসারের সঙ্গে লড়েছেন রাকেশ রোশন। এবার মস্তিষ্কে ৭৫ শতাংশ ব্লকেজ নিয়েও ফের জয়ী হয়ে ফিরলেন। আর তার গল্পে ফুটে উঠল সতর্ক থাকার বার্তা।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
গায়ে দুধ ঢেলে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ছাড়লেন সাজ্জাদুল Jul 22, 2025
img
শান্তি আলোচনায় কোনো চমক আশা করার কারণ নেই: রাশিয়া Jul 22, 2025
img
দক্ষিণে বাজিমাত জাহ্নবী, পারিশ্রমিক এখন ৬ কোটি Jul 22, 2025
img
দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে : শ্রম উপদেষ্টা Jul 22, 2025
img
ঋতুর দর্শনীয় গোলে হেরে গেল মাসুরা-রুপ্নারা Jul 22, 2025
img
সব মার্কা দেখা শেষ, হাতপাখার বাংলাদেশ : ফয়জুল করীম Jul 22, 2025
img
বাবা নবীকে ছাড় দিলেন না ছেলে, প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকালেন ইসাখিল Jul 22, 2025
img
উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় ভর্তি ৪৪, আইসিইউতে ১২ Jul 22, 2025
img
ভিলেনের রূপে আসছেন তৃপ্তি দিমড়ী Jul 22, 2025
img
‘প্রতিটা খেলোয়াড়েরই মন খারাপ ছিল’, বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে মিরাজ Jul 22, 2025
img
মাতৃত্বে পা দিয়েই পৃথিবীর ভয়ংকর রূপ দেখলেন রিচা Jul 22, 2025
img
পাকিস্তানে বর্ষাকালীন দুর্যোগ :২২ দিনে ২২৩ প্রাণহানি Jul 22, 2025
img
বেনাপোলে যাত্রীসেবায় মানোন্নয়ন, রাজস্ব আদায়ে জোর দিলেন এনবিআর চেয়ারম্যান Jul 22, 2025
img
আবারও এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনা, অবতরণের পর আগুন Jul 22, 2025
img
বান্দ্রার রাস্তায় সাইকেল চালানো সেসব ফুরফুরে দিনে ফেরত যেতে চান সালমান Jul 22, 2025
img
লুটেরার মানসিকতা নিয়ে রাজনীতিতে আসবেন না : শফিকুর রহমান Jul 22, 2025
img
জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: গোলাম পরওয়ার Jul 22, 2025
img
আ. লীগের কিছু দুষ্ট চক্র চলমান পরিস্থিতি ঘোলাটে করতে চাচ্ছে : তাহের Jul 22, 2025
img
পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়লো টাইগাররা Jul 22, 2025
img
গুজব ছড়িয়ে দেশের সার্বভৌমত্বের স্তম্ভকে দুর্বল করবেন না: বিমানবাহিনী প্রধান Jul 22, 2025