রানি প্রথম এলিজাবেথ কেন বিয়ে করেননি, তা নিয়ে ইতিহাসবিদরা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করেছেন। তার এই সিদ্ধান্তের পেছনে রাজনৈতিক, ব্যক্তিগত এবং সামাজিক নানা কারণ ছিল।
রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কারণ
রানি এলিজাবেথের শাসনামলে বিয়ে না করার সিদ্ধান্তটি মূলত রাজনৈতিক কৌশল ছিল। তিনি চাইতেন না যে, কোনো বিদেশি রাজপুত্রের সঙ্গে তার বিয়ের মাধ্যমে ইংল্যান্ডের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি বা ধর্মীয় নীতিতে প্রভাব পড়ুক। যেমন, তার বোন মেরি প্রথমের স্পেনের রাজা ফিলিপের সঙ্গে বিয়ের পর ইংল্যান্ডে স্পেনের প্রভাব বেড়ে গিয়েছিল, যা ইংরেজ জনগণের মধ্যে অস্বস্তি সৃষ্টি করেছিল।
এছাড়া, এলিজাবেথের বিয়ে না করার সিদ্ধান্তটি তাকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে শক্তিশালী অবস্থানে রাখতে সাহায্য করেছিল। তিনি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে পারতেন এবং তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করে ইংল্যান্ডের স্বার্থ রক্ষা করতে পারতেন।
ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ
রানি এলিজাবেথের শৈশবে তার মা, আন্নে বোলিনের মৃত্যুর পর, তিনি বিয়ে ও মাতৃত্বের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলেছিলেন। এছাড়া, তার পিতার দ্বিতীয় স্ত্রীর, ক্যাথরিন হাওয়ার্ডের মৃত্যুও তাকে বিয়ে ও মাতৃত্বের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করে তোলে।
এছাড়া, এলিজাবেথের বিয়ের মাধ্যমে তার রাজকীয় ক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। তিনি চাইতেন না যে, কোনো স্বামী তার শাসনের ওপর প্রভাব ফেলুক।
সামাজিক ও ধর্মীয় প্রেক্ষাপট
১৬শ শতকে ইংল্যান্ডে নারীদের সামাজিক অবস্থান ছিল সীমিত। একজন রাণীর বিয়ের মাধ্যমে তার ক্ষমতা ও স্বাধীনতা কমে যেতে পারত। এছাড়া, এলিজাবেথ ইংল্যান্ডের সুপ্রিম গভর্নর হিসেবে খ্যাত ছিলেন, যা তাকে ধর্মীয় ও রাজনৈতিকভাবে স্বাধীনতা প্রদান করেছিল।
এমকে/টিকে