৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ঐকমত্য সনদ চূড়ান্ত করার আশাবাদ কমিশনের

ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে কমিশনের প্রস্তাবে অংশগ্রহণকারী তিন-চতুর্থাংশ দল একমত হয়েছে। মূল বিরোধ এখন প্রধান উপদেষ্টা মনোনয়নের প্রক্রিয়া নিয়ে।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপের ২১তম দিনে আলোচনায় শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
আজকের আলোচনা বিষয় ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, মহা হিসাবনিরীক্ষক ও ন্যায়পাল নিয়োগের সাংবিধানিক বিধান এবং জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্বের কাঠামো।

কমিশনের সংশোধিত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা মনোনয়নে একটি পাঁচ সদস্যের বাছাই কমিটি গঠিত হবে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার (বিরোধী দলের), ও দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দলের একজন প্রতিনিধি। যদি এই কমিটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারে, তবে প্রধান বিচারপতির মনোনীত দুই বিচারপতিকে যুক্ত করে সাত সদস্যের কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই কমিটি র‍্যাংকড-চয়েস ভোটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবে।

এই র‍্যাংকড-চয়েস প্রক্রিয়া নিয়ে বিএনপি আপত্তি জানিয়েছে। দলটির দাবি, অচলাবস্থায় বিষয়টি সংসদে পাঠানো উচিত। অন্যদিকে জামায়াত ও এনসিপি বিচারপতিদের অন্তর্ভুক্তি ও ভোটিং প্রক্রিয়াকে নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার সর্বোত্তম উপায় হিসেবে দেখছে।

আলী রীয়াজ বলেন, আমরা প্রায় ঐকমত্যের কাছাকাছি এসেছি। আগামীকাল কমিশনের পক্ষ থেকে লিখিত প্রস্তাব দেওয়া হবে। আশা করছি তা অধিকাংশ দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।

অধ্যাপক রীয়াজ আরও বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনার পাশাপাশি প্রথম পর্যায়ে যেসব বিষয়ের ওপর ঐকমত্য হয়েছিল, তার একটি তালিকা আগামীকাল রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হবে। এ ছাড়া জাতীয় সনদের খসড়ার একটি কপি ইতোমধ্যে দলগুলোকে দেওয়া হয়েছে। সংশোধনের পর আগামীকালই এ অংশটির নিষ্পত্তি করার আশা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা এখনো আশাবাদী যে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য সনদের পূর্ণাঙ্গ রূপ দাঁড় করাতে পারবো। সব দলই কোনো না কোনোভাবে সমঝোতার দিকে এগোচ্ছে, এটি ইতিবাচক দিক।

এমকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বুলবুলের সঙ্গে আলোচনায় যেসব বিষয়ে কথা হয়েছে সালাউদ্দিনের Jul 31, 2025
img
ওমানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুখবর Jul 31, 2025
img
নারী প্রতিনিধিত্বে ঐক্যমত, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব : আলী রীয়াজ Jul 31, 2025
img
জালালাবাদে শেষ হল বাংলাদেশ ও ইউএস আর্মির মধ্যকার যৌথ প্রশিক্ষণ Jul 31, 2025
img
সমগ্র দেশের মানুষ আজ সংস্কার ও বিচার চায় : নাহিদ ইসলাম Jul 31, 2025
img
ক্লাস ফেলে সমাবেশে শিক্ষার্থীরা, প্রতিবাদের মুখে এনসিপি নেতার দুঃখপ্রকাশ Jul 31, 2025
img
আমদানি পণ্য পাচারের সময় চট্টগ্রাম বন্দরে আটক ৩ Jul 31, 2025
img
আ.লীগ ভারতের দালাল নয়, ভারতের সরকার : চরমোনাই পীর Jul 31, 2025
img
নতুন বাংলাদেশে নতুন সংবিধান গড়তে চায় এনসিপি : নাহিদ ইসলাম Jul 31, 2025
img
গোপালগঞ্জে ডিসির বাসভবনে হামলার ঘটনায় নতুন মামলা, আসামি ১০১ Jul 31, 2025
img
১০ আগস্ট বাংলাদেশে আসছেন পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উড Jul 31, 2025
img
দুই অতিরিক্ত সচিবকে সচিব পদে পদোন্নতি দিল সরকার Jul 31, 2025
img
আইএমও নির্বাচনে বাংলাদেশের পক্ষে সমর্থন কামনা করলেন নৌপরিবহণ উপদেষ্টা Jul 31, 2025
img
ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেলে ভোটের ঘোষণা দিলেন উমামা ফাতেমা Jul 31, 2025
img
মন্ত্রণালয়ের প্রচার কার্যক্রম বাড়াতে প্রধান তথ্য কর্মকর্তার আহ্বান Jul 30, 2025
img
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নূরুল বাসিরকে ওএসডি, Jul 30, 2025
img
আ.লীগ নেতাদের উদ্দেশে ডিম নিক্ষেপ করতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা আটক Jul 30, 2025
img
আগামী সংসদে এনসিপির জয়জয়কার হবে: নাহিদ ইসলাম Jul 30, 2025
বিএনপির স্মরণসভায় গিয়ে যা বললেন খন্দকার আবু আশফাক Jul 30, 2025
img
সংস্কারের দাবি উপেক্ষা করা পরবর্তী সরকারের জন্য সহজ হবে না : আসিফ নজরুল Jul 30, 2025