চীনজুড়ে জনসংখ্যা কমে যাওয়ার আতঙ্ক ঘনীভূত। জন্মহার কমে যাওয়ার জেরে ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক কাঠামো ও কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর ঘাটতির আশঙ্কায় নড়েচড়ে বসেছে চীনা সরকার। এই সংকট মোকাবেলায় নতুন শিশুর জন্মে মাথাপিছু নগদ অর্থ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে চীনের কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকি তিন বছর পর্যন্ত প্রতিটি সন্তানের জন্য বছরে দেওয়া হবে লক্ষাধিক টাকার সমপরিমাণ প্রণোদনা।
২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া এই প্রকল্প অনুযায়ী, প্রতিটি শিশুর জন্মের পর থেকে তিন বছর বয়স পর্যন্ত পিতামাতাকে প্রতি বছর ৩ হাজার ৬০০ ইউয়ান দেওয়া হবে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬১ হাজার টাকা। অর্থাৎ, তিন বছরের জন্য মোট ১০ হাজার ৮০০ ইউয়ান বা প্রায় ১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা পাবে পরিবারগুলো। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত এক সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, যেসব পরিবার ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে সন্তান জন্ম দিয়েছে, তারাও এই প্রণোদনার আওতায় আসবে। সরকারের হিসাব অনুযায়ী, এই প্রকল্পে প্রায় ২ কোটি পরিবার উপকৃত হবে।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য গত শতকের আশির দশকে এক সন্তান নীতি গ্রহণ করেছিল চীন। কিন্তু ২০১০ সালের পর থেকে জন্মহার হ্রাস পেতে থাকায় ২০১৬ সালে এক সন্তাননীতি বাতিল করে ২ সন্তাননীতি চালু করে বেইজিং। পরবর্তীতে ২০২১ সালে দুই সন্তাননীতি বাতিল করে ৩ সন্তাননীতি চালু করা হয়, কিন্তু তাতে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি, উপরন্তু ২০২২, ‘২৩ এবং ’২৪ টানা ৩ বছর নিম্ন জন্মহারের রেকর্ড করেছে চীন। জাতিসংঘের পূর্বাভাস অনুযায়ী, জন্মহার না বাড়লে ২০৫০ সালের মধ্যে চীনের জনসংখ্যা কমে ১৩০ কোটিতে নামবে, আর ২১০০ সালের মধ্যে তা ৮০ কোটিতে পৌঁছাতে পারে।
এফপি/এসএন