বিশ্বকাপ-এশিয়া কাপের আগে শুধু স্কিল নয়, পেসারদের মানসিকভাবে সর্বোচ্চ প্রস্ততি নিতে হবে। পরিকল্পনা সাজাতে হবে কন্ডিশন অনুযায়ী। চ্যালেঞ্জিং হলেও এশিয়া অঞ্চলের মেগা ইভেন্টে টাইগার পেসাররা দারুণ কিছু করবে বলে বিশ্বাস কোচ তালহা জুবায়েরের। তবে, টানা ম্যাচ খেলার ধকলে এশিয়া কাপের স্কোয়াডে নাহিদ রানার থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ। নাহিদদের প্রতি বিসিবিকে আরও যত্নশীল হওয়ার কথা বললেন এই পেস বোলিং কোচ।
কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে, নানা অনিশ্চিয়তার পর সেপ্টেম্বরেই হবে এশিয়া কাপ। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বাংলাদেশ থেকেই। তবে, বড় প্রশ্ন এই ইভেন্টের জন্য কতটা প্রস্তুত টাইগাররা। বিশেষ করে বোলিং ডিপার্টমেন্ট?
দুবাই আর আবুধাবির ভেন্যুতে হবে এবারের এশিয়া কাপ। সেখানের কন্ডিশন বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে পেসারদের জন্য। ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেট সঙ্গে থাকবে বৈরী আবহাওয়া। তাই সফল হতে পরামর্শ দিলেন কোচ তালহা জুবায়ের।
বিসিবির এ পেস বোলিং কোচ বলেন, ‘যখন আমরা ফ্লাট ট্র্যাকে খেলি, তখন আমাদেরকে একটু সংগ্রাম করতে হয়। সংগ্রামটা তখনই করতে হয়, যখন আমার মানসিক গেমটা ভালো না থাকে। প্রতিপক্ষকে নিয়ে কৌশল, প্রতিপক্ষের দুর্বলতা কিংবা প্রতিপক্ষের ব্যাটার কোন জায়গায় স্ট্রাগল করে, সেখানে টানা বল করা। হঠাৎ এক-দুইটা বল করে কিন্তু বড় স্টেজের ব্যাটার আউট করতে পারবেন না। এবং ফিল্ড সেটাপ করে ব্যাটারকে চাপে ফেলা, যেখানে বাউন্ডারি হচ্ছে সেখানে এক রান দিলে ব্যাটার কিন্তু ভিন্ন শট খেলার চেষ্টা করে।’
অল্প ক'দিনেই পেস ডিপার্টমেন্টে বড় ভরসার নাম হয়ে উঠেছেন পেসার নাহিদ রানা। তবে, এই পেসারেরই এশিয়া কাপ স্কোয়াডে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণটা টানা ম্যাচ খেলার ধকল। গেল বছর অভিষেকের পর থেকে প্রায় প্রতি সিরিজেই রাখা হয়েছে তাকে। নাহিদকে লম্বা সময় ধরে রাখতে হলে বিসিবিকে আরও যত্নশীল হতে হবে বলে মনে করেন তালহা।
তিনি বলেন, ‘নাহিদ রানাকে যদি ভালোভাবে যত্ন নিতে পারি, আমরা কখন ওকে খেলাব, কোন সিরিজগুলো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ; ওর রুটিনটা যদি খুব সুন্দর করে স্মার্টলি নিয়ে আসতে পারি তাহলে হয়তো ওকে আমরা ইনজুরি থেকে দূরে রাখতে পারব।’
একটা সময় এবাদত হোসেনও হয়ে উঠেছিলেন টাইগারদের পেস ডিপার্টমেন্টের অন্যতম ভরসার নাম। তবে, এক ইনজুরি কেড়ে নিয়েছে অনেক কিছু। কলম্বো টেস্টে সুযোগ আসলে কাজে লাগাতে পারেনি। যদিও তার ওপর পূর্ণ আস্থা আছে কোচের। পরামর্শ দিলেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধর জন্যও।
তালহা বলেন, ‘এবাদতের হয়তো এখনই এসে ২০ ওভার বোলিং করাটা ঠিক হবে না। শেষ দুদিন ও শর্ট রানআপে বল করেছে, কাল ফুল রানআপে বল করেছে। ছন্দে কিন্তু তার কোনো ঘাটতি ছিল না। পারফর্ম যারা করবে, তারা যদি কোথাও না থাকে প্রশ্ন যেন করে, কেন তারা নেই। আপনি যদি জানেন আমার কোথায় উন্নতি করতে হবে, তাহলে আমার মনে হয় কামব্যাক করাটা সহজ হয়ে যায়।’
টাইগারদের পেস ডিপার্টমেন্ট এখন অনেক শক্তিশালী। তাদের সঙ্গে মানিয়ে নিজেকে আরও দক্ষ করতে চান তালহা জুবায়ের। সেপ্টেম্বরে অস্ট্রেলিয়া যাবেন এক মাসের ট্রেনিং নিতে।
এফপি/টিএ