জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, জুলুম-নির্যাতন করে ইসলামী আন্দোলনকে দমিয়ে রাখা যায় না। শহীদ মাওলানা নিজামীর অপরাধ তিনি এদেশে ইসলামী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চেয়েছিলেন। এ জন্য দেশীয় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে অন্যায়ভাবে জুডিশিয়াল কিলিং করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার হত্যার বদলা হিসেবে এদেশে ইসলাম কায়েম হবেই ইনশাআল্লাহ।
শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে পাবনার সাঁথিয়ায় শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর কবর জিয়ারত শেষে দৌলতপুর ইমাম হোসেন একাডেমি মাঠে উপজেলা জামায়াতের প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেন, জামায়াতের এই সাবেক আমির শহীদ মাওলানা নিজামী দুটি মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করা সত্ত্বেও এক টাকারও দুর্নীতি এ পর্যন্ত কেউ প্রমাণ করতে পারেনি। তাই মরহুম মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার দায়িত্ব এখন তার ছেলে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমিনের। এজন্য সাঁথিয়াবাসীকে তার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য দলমত নির্বিশেষে সকলকে আগামী সংসদ নির্বাচনে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেনের পক্ষে কাজ করতে হবে।
আজ যারা জুলুমতন্ত্রের নেতৃত্বে দিচ্ছে তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পাশ্চাত্য সামরিক শক্তির বলে মানুষকে বেশি দিন দাবিয়ে রাখা যায় না। পাশ্চ্যত্যরা সামরিক শক্তির মাধ্যমে দুনিয়াতে শাসন করে যাচ্ছে। রাসুলের (সা.) ভবিষ্যৎবাণী হিসেবে সামরিক শক্তি ধ্বংস হয়ে আগামীতে ইসলামী খেলাফত কায়েম হবে। সারা বিশ্বে আজ ইসলামী আন্দোলনের উত্থান প্রমাণ করছে আগামী একবিংশ শতাব্দিতে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ইসলাম কায়েম হবে ইনশাআল্লাহ। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ইমানি শক্তিকে বলিয়ান হয়ে আমাদেরকে ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে দীপ্ত পথে এগিয়ে চলতে হবে।
সাঁথিয়া উপজেলা আমির মোকলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পাবনা জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য, সাবেক আমির আব্দুর রহিম, নায়েবে আমির প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইকবাল হোসাইন, সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল গাফ্ফার খান, ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন, বেড়া উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির আব্দুল বাছেত খান প্রমুখ।
এমআর/টিকে