ছিনতাই প্রতিরোধে ব্যর্থতার অভিযোগে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে স্থানীয় কয়েকশো জনতা থানায় বিক্ষোভ করেছেন। এসময় তারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ (রুহানী)-এর জন্য উপহার হিসেবে শাড়ি ও চুড়ি নিয়ে আসেন।
বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশকে তিন দিনের মধ্যে ছিনতাই প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আলটিমেটাম দিয়েছেন। ওসি খন্দকার ফুয়াদ ও উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুর রহমান বিক্ষুব্ধদের শান্ত করার চেষ্টা করেন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ভৈরব শহরের কোনো সড়ক এখন আর নিরাপদ নেই। কেবল রাতে নয়, দিনের বেলায়ও ছিনতাইকারীরা পথচারীদের সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে। ছিনতাইকারীরা টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে না, অনেক সময় ছুরিকাঘাত করে আহতও করছে। শত চেষ্টা করেও ছিনতাই কমছে না এবং এর পেছনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতা সুস্পষ্ট বলে তারা জানান।
তারা আরও বলেন, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণেই পরিস্থিতি এতটা নাজুক হয়েছে। পুলিশের ক্রমাগত ব্যর্থতার প্রতীক হিসেবেই ওসির জন্য শাড়ি ও চুড়ি আনা হয়েছে। তারা বলেন, ছিনতাই প্রতিরোধে ব্যর্থ হলে ওসি যেন শাড়ি-চুড়ি পরে অফিস করেন।
বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে তিন দিনের মধ্যে ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার এবং ছিনতাই পুরোপুরি বন্ধ করার দাবি জানান। অন্যথায় পুলিশের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার ঘোষণা দেন তারা। থানায় বিক্ষোভের আগে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের 'দুর্জয় ভৈরব' চত্বরে ছাত্র ও যুবসমাজের ব্যানারে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য দেন মনিরুজ্জামান, আজহারুল ইসলাম, নূরে আলম, শাহরিয়ার মোস্তুফা, মো. রিয়াদ, হান্নান আহমেদ, মো. জিহাদ এবং ছিনতাইয়ের শিকার ফারদিন আহমেদ।
কেএন/টিকে