রাজশাহীর বাগমারার উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভার ‘ডা. সাব্বির ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক’ হাসপাতালে অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে না পারায় চার দিন আটকে রাখা হয়েছিল এক রোগীকে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় পুলিশের হস্তক্ষেপে ৩৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে ওই রোগীকে বাড়ি নিয়ে যান স্বজনেরা।
ক্লিনিকটির পরিচালক সাব্বির হোসেন। তিনি উপজেলা ক্লিনিক মালিক সমিতির সভাপতি।
জানা গেছে, ২৬ জুলাই পাশের দুর্গাপুর উপজেলার কয়ামাজমপুর গ্রামের বাসিন্দা সুশান্ত (৫০) পারিবারিক বিরোধের জেরে বিষপান করেন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে তাহেরপুরের হরিতালা এলাকার ওই ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে রোগীকে ওয়াশ করে বিষ বের করে চিকিৎসকেরা তাকে পর্যবেক্ষণে রাখেন। দুই দিন পর ২৮ জুলাই রোগীকে বাড়ি নিতে গেলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
জানানো হয়, আরও দুই দিন পর ছাড়পত্র দেওয়া হবে। পরে ৩০ জুলাই আবার রোগীর অভিভাবকেরা গেলে হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় ৬৭ হাজার ৭২০ টাকার বিল। জানানো হয়, টাকা না দিলে রোগীকে ছাড়া হবে না। তখন থেকেই রোগী সেখানে ‘আটকে’ ছিলেন।
রাজশাহীর সিভিল সার্জন এস আই এম রাজিউল করিম বলেন, এই বিল অস্বাভাবিক। আমি হাসপাতালের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে দেখব।
তবে ক্লিনিকের চিকিৎসক আবদুস সাত্তার রোগী আটকে রাখার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিলটি অস্বাভাবিক ছিল না।
তাহেরপুর তদন্তকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা বলেন, উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সুরাহা করেছি।
কেএন/টিএ