জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেছেন, জুলাই ঘোষণাপত্র, জুলাই সনদ, তা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা- এগুলো আসলে রক্ষাকবজ নয়। রক্ষাকবজ হলো- আপনার যদি এই বিষয়গুলো নিয়ে জনগণের কাছে যেতে পারেন, যদি জনগণ আপনাকে গ্রহণ করে, গায়ের জোরে না, পাওয়ার দেখিয়ে না, ভালোবাসা দিয়ে কাজের মাধ্যমে। বিএনপি জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে কিন্তু বহাল তবিয়তে টিকে আছে। গত ১৫ বছর বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য আওয়ামী লীগ কি না করেছে, তারপরও বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করা যায়নি।
জামায়াত ইসলামীকে নিশ্চিহ্ন করা যায়নি। কেন যায়নি? কারণ জামায়াত জনগণের সঙ্গে তার মতো করে যতটুকু সম্ভব তারা সম্পৃক্ত হতে পেরেছে। এই জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা হলো সবচেয়ে বড় ইনডেমনিটি। সেটা করার চেষ্টা করুন।
ওটা আইন হলো, না কি তফসিল হলো, না কি সংবিধানের পার্ট হলো- এতে কিছু যায়, আসে না। যায় আসে জনগণের সঙ্গে কতটা সম্পৃক্ত হতে পারলেন, জনগণ আপনাদেরকে কতটা আপন করে নিল।
শনিবার (২ আগস্ট) ‘কথা’ নামের নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদ কামাল বলেন, গত আগস্টের পর জনগণ কিন্তু এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা সামনের দিকে আছেন, এদের প্রায় অনেককে আপন করে নিয়েছিল।
নিজের মনে করে নিয়েছিল। সেই জায়গায় আপনারা থাকতে পারেননি আপনাদের আচরণের কারণে। আপনাদের কর্মকাণ্ডের কারণে। এখনো সময় আছে। আপনারা এর মাঝখানে একটা ভালো কাজ করেছেন।
জুলাই পথযাত্রা করেছেন। সারাদেশে গেছেন আপনারা। মানুষকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেছেন। দুয়েকটা ঘটনা বাদে। গোপালগঞ্জ, কক্সবাজার ও নেত্রকোনায়। মানুষকে ক্ষেপিয়ে দিয়ে কোন লাভ নাই। মানুষকে গ্রহণ করার চেষ্টা করুন। একমোডেট করার চেষ্টা করুন। সেক্ষেত্রে মানুষ আপনাদেরকে, আপনাদের উদারনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে ভালোভাবে নেবে। প্রতিহিংসার দৃষ্টিভঙ্গিকে মানুষ ভালোভাবে নেয় না। এটা বাঙালির কেউ নেয় না। এদেশের লোকজন নেয় না। এটা মাথায় রেখে আপনারা অগ্রসর হোন।
তারপরও আমরা দেখতে চাই যে কী আসে নতুন বাংলাদেশের ইশতেহারে? আমরা দেখতে চাই কি আসে ৫ আগস্টের সরকারঘোষিত জুলাই ঘোষণাপত্রে।
কেএন/টিএ