মিরপুর শেরে-ই-বাংলার উইকেট নিয়ে সর্বশেষ পাকিস্তান সিরিজে কম সমালোচনা হয়নি। ১৪ মাস পর হোম অব ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরার পরও চিত্রটা অপরিবর্তিত।
ব্যাটারদের নরকতুল্য মিরপুরের পিচ নিয়ে শুরুতে পাকিস্তান দলের প্রধান কোচ মাইক হেসন প্রথম ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে মিরপুরের উইকেটকে একহাত নেন। এরপর তৃতীয় ম্যাচ শেষে ক্ষোভ ঝাড়েন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগাও।
সালমানের মতে এশিয়া কাপ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে এমন উইকেট কাজে আসবে না। পরবর্তীতে বিসিবি সভাপতিসহ অন্য পরিচালকদের মুখেও বিতৃষ্ণা শোনা গেছে মিরপুরের স্লো-লো উইকেট নিয়ে। বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টিতে উভয়পক্ষের ব্যাটাররাই ব্যর্থ ছিলেন, খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। পাকিস্তানের কোচ-অধিনায়কের পর বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিমও উইকেট নিয়ে অখুশির কথা জানান।
গতকাল (শনিবার) বিসিবি পরিচালক আকরাম খানও উইকেট নিয়ে বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে অন্তত ১৬০-১৭০ রান না হলে ওই ধরনের উইকেটে খেলা উচিত না। সম্প্রতি আমাদের যে সিরিজটা হয়েছে সেখানে উইকেট ওরকম ভালো ছিল না। হয়তোবা আবহাওয়া ও সময়ের জন্য এমন হয়েছে। সেটা নিয়ে আমরা অনেক আলোচনা করেছি এবং আমাদের এখানে নেদারল্যান্ডস আসার একটা সম্ভাবনা আছে। আর বাকি যে ম্যাচ আছে, সেখানেও একই পরিস্থিতি হলে…ঢাকার বাইরেও ভালো উইকেট আছে, বেশি রান হয়। পরিকল্পনা এবং চিন্তা করেছি সেখানেও আমরা খেলাতে পারি।’
পরে এনসিএলের ভেন্যু প্রসঙ্গে আকরাম বলেন, ‘১৫ সেপ্টেম্বর থেকে আমরা ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি লিগ শুরু করতে যাচ্ছি। দুটি ভেন্যুতে আয়োজন করার চেষ্টা করছি টুর্নামেন্টটি। এর মধ্যে একটি ভেন্যু হলো চট্টগ্রাম, অন্যটি এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে আমরা দুটি ভেন্যুতেই আয়োজন করছি এবার, আশা করছি দেশের সব খেলোয়াড় এখানে অংশগ্রহণ করবে।’
পিএ/টিকে